কোটিপতির মতো চালচলন! ভুয়ো কল সেন্টার থেকে লোক ঠকিয়েই এত টাকা সাগ্নিকের

রুপোলি পর্দার তারকা পল্লবী দে-র মৃত্যুর পর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে টলিপাড়ায়। পল্লবীর মৃত্যুর পর গ্রেফতার করা হয়েছে তার প্রেমিক সাগ্নিককেও। তার মৃত্যুর পর থেকেই একাধিক চাঞ্চল্যকর খবর ছড়িয়ে পড়েছে নেট মাধ্যমে। এমনকি পল্লবীর প্রেমিক সাগ্নিকের ব্যাপারেও বহু অজানা তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। এরপর থেকেই একের পর এক আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে সাগ্নিককে। সম্প্রতি সাগ্নিকের মাসিক আয় নিয়েও বহু তথ্য পেয়েছে পুলিশ ( Police find out pallabi Dey boyfriend sagnik income source ) । ইতিমধ্যে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে বেআইনি কল সেন্টার চালিয়েই নাকি বিলাসবহুল জীবনযাপন করত সাগ্নিক। আর সেই ভুয়া কল সেন্টার চালিয়ে আয় করা লাখ লাখ টাকা কোথায় রাখত সাগ্নিক তা নিয়েই তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন।
পল্লবী দে-র মৃত্যু তদন্ত করতে গিয়েই পুলিশের হাতে আসে তার প্রেমিক সাগ্নিকের ব্যাপারে নানা অজানা তথ্য। সাগ্নিকের মাসিক আয় নিয়েও খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা। তদন্তে সাগ্নিক পুলিশকে জানান তার মাসিক আয় প্রায় কুড়ি হাজার টাকা। আর এই সামান্য মাইনের চাকরিতেই সাগ্নিকের ছিল অডি গাড়ি। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে দামি নাইট ক্লাবে যেতেন সাগ্নিক। তবে এই সামান্য টাকাতে কিভাবে এত বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে সাগ্নিক তা নিয়েও খতিয়ে দেখে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে জানা যায় যে নিউ টাউনে একটি কল সেন্টার চালাতেন সাগ্নিক, যেটি সম্পূর্ণ ভুয়ো ছিল। আর সেখান থেকে আয় হওয়া লাখ লাখ টাকা থেকেই বিলাসবহুল জীবনযাপন করত সাগ্নিক।
পল্লবীর মৃত্যুর পর থেকেই বহু বিষয় সামনে উঠে এসেছে। তদন্ত চলাকালীন পল্লবীর পরিবার থেকে জানা গেছে সাগ্নিকের রাজারহাটের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনার টাকার অধিকাংশই নাকি দিয়েছিল পল্লবী। এই প্রসঙ্গে একদমই সম্মতি জানান না সাগ্নিকের মা। তিনি পুলিশকে জানান রাজারহাটে ফ্ল্যাট কেনার টাকা নাকি তারাই সাগ্নিককে দিয়েছিলেন। এবং ফ্লাটের জন্য এক পয়সাও পল্লবী দেয়নি। বরং ৪৩ লক্ষ টাকা নগদ ও বাকি টাকা লোন নিয়েই এই ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে। এছাড়াও সাগ্নিকের মা এও জানান যে নিউটাউনের ফ্ল্যাট কেনার জন্য দুটি সম্পত্তি বিক্রি করেছেন তারা। এখন এ সকল তথ্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দাদাগিরি ফিনালেতে ফের নতুন চমক! সৌরভ-ডোনার সঙ্গে মঞ্চ কাঁপাবে মিঠাইও
ইতিমধ্যেই নিউ টাউনের সেই ফ্লাটের প্রোমোটারদের সঙ্গেও যোগাযোগ করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। সাগ্নিকের মায়ের সাথে কথা বলা কালীন পুলিশ জানতে পারে যে সাগ্নিকের আয়ের উৎস সম্পর্কে তার পরিবারও অজ্ঞাত ছিল। তারা শুধু জানতেন সাগ্নিক অনলাইনে কিছু কাজ করে। তবে এরপরই তদন্তে নেমে একাধিক গোপন খবর ফাঁস হতে থাকে। তদন্তের মাধ্যমে সাগ্নিক যে ভুয়ো কল সেন্টার চালাতেন তা জানা গেলেও সেখান থেকে আয় হওয়া লাখ লাখ টাকা তিনি কোথায় রাখতেন সে সম্বন্ধে এখনও কোনো খবর মেলেনি। সেই বিষয়ে এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যেই তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে পল্লবীর অ্যাকাউন্টেও সেখান থেকে টাকা গিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আপতত পল্লবীর ব্যাঙ্ক ডিটেলসও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কিরণ প্রেমিকার গোপন ছবি ফাঁসের হুমকি সিনেবাপের! নারী সম্মানে টানাপোড়েনে তোলপাড় নেটপাড়া