সঙ্গীতমহলে নামল অকাল সন্ধ্যা, গীতশ্রীর যে ৫ গানের সুর মূর্ছনায় আজও হারায় আপামর বাঙালি

১৯৫০ সালে পা রাখেন মুম্বাইতে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। ১৭টি হিন্দি ছবিতে প্লে-ব্যাক করেন সুর সম্রাজ্ঞী। শচীন দেব বর্মনের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল তাঁর বম্বে সফর। তবে শচীন দেববর্মন তাকে বাণিজ্য শহরে নিয়ে গেলেও প্রথম প্লেব্যাকের সুযোগ হল অনিল বিশ্বাসের সুরে ‘তারানা’ ছবিতে। নিজের প্রতিভার ( Sandha Mukhapadhyay ) মাধ্যমেই সকলের মন জয় করতে পেরেছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে ‘জয়জয়ন্তী’ ও ‘নিশিপদ্ম’ ছবিতে গান গেয়ে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এরপর ১৯৯৯ সালে ভারত নির্মান পুরস্কার পান। ২০১১ সাল নাগাদ বঙ্গবিভূষণ সম্মান পান তিনি। ২০২২ সালে তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ দিতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার, কিন্তু এতদিন সে সম্মান তাঁকে না দেওয়ায় অভিমানে পদ্মশ্রী প্রত্যাখান করেন তিনি। জীবনে একের পর এক মাইলস্টোন অতিক্রম করেছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। হইয়ে উঠেছেন সকলের প্রিয় ও শ্রদ্ধেয়। আজ তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে সংগীত জগতে। দিন কয়েক আগেই লতাকে হারিয়ে এখন আরও এক রত্ন হারিয়ে ফেললো এই দেশ। কেউ জানে না কার ডাকে, ঠিক কার ডাকে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন গীতশ্রী। হয়তো সেই মধু মালতীর ডাকে।
শুনে নিন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ( Sandha Mukhapadhyay ) এই পাঁচটি কালজয়ী গান।
এই পথ যদি না শেষ হয়
সপ্তপদীর এই গান যেন বাংলা সিনেমার গানের মাইলস্টোন। গানটি গেয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এবং সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। গানটির কথা লেখেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।
তুমি না হয় রহিতে কাছে
পথে হল দেরী সিনেমায় সুচিত্রা লিপে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের এই গান যেন আজও বাঙালির মনের খুব কাছে।
মধুমালতী ডাকে আয়
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের চয়নিকা একক অ্যালবামের এই গানটি সেই সময় ব্যপকহারে জনপ্রিয় হয়। সেই জনপ্রিয়তায় এতোদিন পরেও কোন ভাটা পড়েনি।
কি মিষ্টি দেখ মিষ্টি
নায়িকা সংবাদ সিনেমায় অঞ্জনা ভৌমিকের জন্যে গাওয়া সন্ধ্যার এই গানটি সত্যিই বড় মিষ্টি।
গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু
অগ্নিপরীক্ষা সিনেমায় ম্যাডাম সেনের লিপে গাওয়া সন্ধ্যার এই গানটি বাঙালির নস্ট্যালজিয়া।