২ লাখের ব্যাগ, ৩ লাখের জুতো! শো-অফেই পাতা মৃত্যু ফাঁদ, কাদের নিশানা করলেন স্বস্তিকা ?

গত মাসেই টলিউডে একের পর এক মৃত্যু যেন ভয় পাইয়ে দিয়েছিল গোটা কলকাতা শহরকে। আজ এক মাস কেটে গেলেও  মডেল অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যু নিয়ে কোনও সুরাহা বের করতে পারেনি পুলিশ। সন্দেহ এখনও তাঁর প্রেমিকের দিকেই। তবে শুধুই পল্লবী নয়, গত মাস জুড়ে টেলিপাড়ায় মৃত্যু হয়েছে একের পর এক মডেল অভিনেত্রীর। বিদিশা দে মজুমদার ও তারপরই মঞ্জুষা নিয়োগী। একের পর ছোট পর্দার মডেল অভিনেত্রীদের মৃত্যুতে যেন শোরগোল শুরু হয় শহর জুড়ে। 

টলিপাড়ার আকাশে যেন ঘনিয়ে আসে কালো মেঘ। একের পর এক আত্মহত্যার পিছনে কোনও কারণ খুঁজে পান না শহরবাসী। নানা জল্পনা-কল্পনা বাসা বাঁধে মানুষের মনে। এই পরিস্থিতি অবশ্য কিছু কারণ বা যুক্তি মানুষের কাছে বেশ গ্রহণযোগ্যতা পায়। অনেক কলাকুশলীরাই দাবি করেন, বর্তমান প্রজন্মের অভিনেত্রীদের উচ্চ বাসনার জেরেই এই প্রকার ঘটনা। এই প্রসঙ্গে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন রচনা ব্যানার্জী। 

swastika

তবে শুধুই তিনি নন! অনেক কলাকুশলীদের মতেই বর্তমান যুগের গ্ল্যামার ওর্য়াল্ডের শিল্পিরা নিজের রোজগারের থেকে বেশি ব্যয় করে থাকেন যার জেরেই দিন শেষে এই ধরণের পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন। এ প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন বিখ্যাত অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বর্তমান যুগে অধিকাংশ অভিনেতা বা অভিনেত্রীরা এই গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে প্রবেশের সঙ্গেই যেন একটা বৈভবের সমুদ্রে ভেসে যায়। সে যে কেউ বড় একটা এটা প্রমাণ করার জন্যই বৈভবের এই অপার সমুদ্রকে বেছে নেয়। খোঁজ নেয় না আদেও কতটা পরিচয় লাভ করেছে সে। তাঁর আগেই দামী গাড়ি-বাড়ি কিনে বসেন। তারপর যে সিরিয়ালটায় কাজ করছিল, সেটা বন্ধ হলে মাথায় এসে চাপে ঋণের বোঝা। এমতাবস্থায় আত্মঘাতী হয়ে পড়েন কলাকুশলীরা।”

তবে এখানেই থামেননি অভিনেত্রী। তাঁর সংযোজন, “আমরাও অনেকদিন ধরে কাজ করছি এই গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে কিন্তু কখনও মনে হয়নি এই রকম বৈভবেক জোয়ারে গা ভাসাই। এখনকার দিনে ছেলে-মেয়েরা দেখি নিজের পরিচয় লাভের আগেই বাবা-মা’কে ছেড়ে একই শহরে অন্য ফ্ল্যাট কিনে নেন। আমি এখনও নিজের বাবার সঙ্গে থাকি, কিন্তু কখনও এই রকম ভাবনা মাথায় আসেনি। এই জন্যই হয় তো বলে শ্রোতে গা ভাসাতে নেই।” অভিনেত্রীর এই মন্তব্যকে অবশ্য যথেষ্ট সহমত জানিয়েছেন নেটিজেনরা।




Leave a Reply

Back to top button