পর্দার ঝিলিক আর বাস্তবের তিথির জীবনের কতটা মিল?
অল্প বয়সেই চোখের সামনে দেখতে হয়েছিল তাঁর মা ও বাবার বিচ্ছেদ হওয়া

শুভঙ্কর,কলকাতা: সঙ্গীত, সাহিত্য, খবর, ইত্যাদি ছাড়াও বাঙালির এখনকার দিনে আরেকটি বড়ো নেশা হলো টিভির পর্দায় সিরিয়ালের নেশা। প্রতিটি ঘরে ঘরেই এখন পাওয়া যায় সিরিয়াল প্রেমী। এছাড়াও এর প্রভাব কিছুটা রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার জগতেও। আজ আমরা যাদের টিভির পর্দায় দেখে হাততালি দিচ্ছি, কিন্তু বাস্তব অত্যন্ত কঠিন ও শক্ত। যেই সেলিব্রিটিদের দেখে আমরা আজ এতো মুগ্ধ হচ্ছি, কিন্তু অতীতে তাদের জীবন ছিল অন্যরকমের। কেউ হয়তো মুখে সোনার চামচ নিয়ে জন্মেছে। আবার কেউ অত্যন্ত কঠিন সংঘর্ষ ও জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে লড়াই করে এবং অজস্র বাঁধা পেরিয়ে আজ লোকের হাততালি কুড়োচ্ছে। এই হচ্ছে সেলিব্রিটিদের জীবন।
আজ যে সেলিব্রিটি বা নায়িকার জীবনের বাস্তব ঘটনা, অর্থাৎ স্ট্রাগল বা সফরের কথা তুলে ধরতে চলেছি, তিনি আর কেউ নন। তিনি একসময়ের জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়াল ‘মা’ এর মুখ্য চরিত্র ঝিলিক। আসল নাম তিথি বসু। আর পাঁচটা সেলিব্রিটির মতো, তাঁর জীবনও গেছে কষ্টদায়ক ও কঠিন অধ্যায় দিয়ে। সবচেয়ে নজরকাড়া ব্যাপার হলো ‘মা’ এর ঝিলিকের সাথে তিথির বসুর জীবনের অনেকটাই মিল আছে। হয়তো সেই কারণে এতো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে পর্দায় নিজের চরিত্রটা।
তো কি তিথির জীবনের বাস্তব সত্য? তখন দশম ছাত্রী ছিলো তিথি। সেই সময় তাঁর উপর দিয়ে বয়ে যায় এক বীভৎস ঝড়। চোখের সামনে দেখতে হয়েছিল তাঁর মা ও বাবার বিচ্ছেদ হওয়া। এই ধাক্কাটা মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছিল তিথিকে। অল্প বয়সেই বুঝে গেছিলো জীবনটা কি ও কতটা নিষ্ঠুর। তবে অল্প বয়সেই এই ধাক্কা খাওয়াতে অনেকটা বড়দের মতো পাকাপোক্ত হয়ে গেছিলো তিথি। ঝিলিকের পরে তাকে সিরিয়াল জগতে আর তেমনভাবে দেখা যায়নি। কারণ জিজ্ঞেস করায় তিথি জানায় যে আইসিএসসি পরীক্ষার ঠিক আগে মা-বাবার মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। তখন সিরিয়াল করলে আর পড়াশোনা শেষ করতে পারতাম না। বাবা ছেড়ে যাওয়ার পর কষ্ট করে লেখাপড়াটা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তিথি।