প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার জন্য শেষ হয় অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের কেরিয়ার! ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অভিনেতা

তিনি ছিলেন একসময়ের বাংলা ইন্ডাস্ট্রির রাজা। নিজের অভিনয়গুণে সেরার সেরা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন সবসময়। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এক সুপরিচিত নাম হল অভিষেক চট্টোপাধ্যায় ( Bengali actor Abhishek Chatterjee )। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে সে সময় তার মত প্রতিভাবান অভিনেতা খুব কম ছিল। তার অভিনয়গুণে ও বাচনভঙ্গীতে মুগ্ধ হয়েছিল সিনেমাপ্রেমী মানুষেরা। ইন্ডাস্ট্রির বাকি অভিনেতাদের সবসময় পেছনে ফেলে নিজেকে সামনের সারিতে এগিয়ে রাখতেন এই অভিনেতা ( Bengali actor Abhishek Chatterjee )। নিজের অভিনয় প্রতিভা ও দক্ষতার গুণে সর্বদা তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতেন এই অভিনেতা। এমনকি এরকমও দেখা গেছে যে, নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথেও অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিতেও তিনি পিছপা হতেন না। তিনি ( Bengali actor Abhishek Chatterjee ) তার অভিনয় জীবন শুরু করেন বেশ নামকরা তাবড় তাবড় অভিনেতাদের সাথে। তবে যে মাপের অভিনেতা তিনি ছিলেন সে হিসেবে তার কপালে সম্মাননা ও কাজ জোটেনি। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির আনাচে কানাচে এই কথা ঘুরে বেড়ায় তার যেমন সুদর্শন চেহারা তেমনি ছিল শক্তপোক্ত বডি সে হিসেবে অনেক ভালো ভালো চরিত্রে তাকে ভাবা যেত। কিন্তু কপাল মন্দ থাকলে যা হয়।
আরও পড়ুন…………দশভি ছবির ট্রেলারেই চমক, গঙ্গারাম অভিষেক বচ্চনের অভিনয়ে ভিন্ন স্বাদ

অভিনেত অভিষেক চট্টোপাধ্যায় বহুবার নিজের প্রতি হওয়া বেশ কিছু অন্যায়ের বিরুদ্ধে বহুবার সরব হয়েছেন। তিনি প্রকাশ্যে এসে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির ভেতরের নোংরামোকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন ইন্ডাস্ট্রির একসময়ের জনপ্রিয় জুটি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা তার ক্যারিয়ার নষ্ট করে দিয়েছে। সে সময়ের জনপ্রিয় ও এক নম্বর অভিনেতাদের মধ্যে অভিষেক ছিলেন একজন। কিন্তু প্রতিবার প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা ( Rituparna Sengupta ) ষড়যন্ত্র করে তার থেকে কাজ ছিনিয়ে নিত। যেন তেন প্রকারে চেষ্টা করত দক্ষ এই অভিনেতাকে শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত করত। তিনি আরও জানিয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রির নোংরা পলিটিক্স তাকে পিষে মেরে ফেলছিল। তিনি জানান যাদের তিনি বন্ধু ভাবতেন তারাই শেষমেশ পিছন থেকে ছুরি মারে। বন্ধু প্রসেনজিৎ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন যে, প্রসেনজিৎকে তিনি তার নিজের ভালো বন্ধু মনে করেছিলেন পরে তিনি জানতে পারেন যে, প্রসেনজিৎ ( Prosenjit Chatterjee ) তাকে হটানোর জন্য তার পিঠ পিছেই চক্রান্ত করেন। সেই সাথে যুক্ত ছিল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা। এসবের পর পরই প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার সঙ্গে অভিনেতা অভিষেকের সম্পর্ক খারাপ হয়। শেষের দিকে তেমন যোগাযোগ ছিল।
আরও পড়ুন…………‘মেয়েদের প্রস্রাব চাপার কষ্ট কেউ বোঝে না’, ‘সুসু’র হাত ধরেই সমাজ পাল্টাবে পার্নো
২৫০ টিরও বেশি সিনেমা করা এই অভিনেতা একসময় ইন্ডাস্ট্রির বুক থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন। চলে গিয়েছিলেন অন্তরালে। তাও তিনি জানান যে, হারিয়ে যাওয়ার লোক তিনি নন। তিনি জন্মেছেন লোকে তাকে মনে রাখার জন্য একথা সবসময় বলতেন। আবার নিতুন জোশে ফিরেও এসেছিলেন। তবে এবার চিরদিনের মত না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেতা। তার মৃত্যু বাংলা ইন্ডাস্ট্রির এক বিশাল বড় ক্ষতিসাধন।