জিতু নয়! অপরাজিত চরিত্রে আবির ছিলেন অনীক দত্তের প্রথম পছন্দ

জয়িতা চৌধুরী, কলকাতা: খতিয়ে দেখলে প্রায় গোটা বিশ্ব জয় করতে চলেছে অনীক দত্তের ( Anik Dutta ) ‘অপরাজিত’ ( Aparajito ) । বাংলা থেকে ভারত, টরন্টো থেকে দুবাই, আবুধাবি, শারজা– ছবির দৌলতে সর্বত্র অনায়াস গতিবিধি পর্দার ‘অপরাজিত রায়’ ওরফে জীতু কমলের ( Jeetu Kamal )। তথাকথিত বড়পর্দার অভিনেতা না হয়েও অসাধ্য সাধন করেছেন অভিনেতা। পর্দায়ে যেন দর্শক হুবহু দেখছেন কিংবদন্তি সত্যজিৎ রায়কেই ( Satyajit Ray )।
সূত্রের খবর, সত্যজিৎ রায়ের ( Satyajit Ray ) ছায়া ‘অপরাজিত রায়’ ( Aparajito Ray ) হয়ে উঠতে জীতুর যে নিরলস চেষ্টা, অধ্যাবসায় তার ঝলক আগেই পেয়েছিল দর্শক। ছবি মুক্তি পেতে সেই চেষ্টার প্রতিফলন দেখা গেল পর্দায়। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, জীতুর ( Jeetu Kamal ) অপরাজিত হওয়া হতো না যদি না আবির চট্টোপাধ্যায় ( Abir Chatterjee ) ছবিটি ফিরিয়ে দিতেন।
এই প্রসঙ্গে TV9 Bangla- কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পরিচালক অনীক দত্ত ( Aneek Dutta ) জানান, বাস্তবে সত্যজিৎ রায়ের ( Satyajit Ray ) মতো দেখতে কাউকে তিনি পাবেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে এটা ভাবেনইনি। তাই প্রথম থেকে অপরাজিতর চরিত্রে আবিরকেই ( Abir Chatterjee ) ভেবে রেখেছিলেন তিনি। সেই মতো কথাবার্তাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্ত হঠাৎ করে লকডাউন উঠে যাওয়ায় তারিখ নিয়ে সমস্যা দেখা দেয় আবিরের। আবিরের ছবি যেগুলোর কাজ আটকে ছিল সেগুলো নতুন করে শুরু হয় লক ডাউনের পর। আর তখনই সমস্যায়ে পড়ে যান অভিনেতা। পরিচালক বলেন, একদিন মাথা নীচু করে তাঁর কাছে এসে সবটা খুলে বলেছিলেন আবির। তবে আবির যে ছবিটা ইচ্ছা করে ফেরাননি সেটাও বুঝেছিলেন তিনি। অন্যদিকে টানা দু মাস শুটিং না করলে সমস্যা হত পরিচচালকের। কিন্তু অভিনেতার পক্ষে সেটা সম্ভব ছিল না।
তাই শেষমেষ ছবিটি ছেড়ে দিতে একরকম বাধ্য হন আবির। জিতুর প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, তিনি আগে চিনতেন না অভিনেতাকে। সত্যজিতের চেহারার সঙ্গে মিল আছে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন বলে চরিত্রের নামও বদলেছিলেন তিনি। তবে জীতুর কাজ দেখে মুগ্ধ অনীক। তিনি আরও বলেন, সে সময়ে হয়তো জিতুর উপরে কেউ যেন ভর করেছিল। দ্রুত সবকিছু শিখে নিচ্ছিলেন তিনি। ছবি করতে গিয়ে অনেক বাধা এলেও সেগুলো কেটে গিয়েছে বলে জানান অনীক।
আরও পড়ুনঃ ‛কুছ কুছ হোতা হে’-এর সেই ছোট্ট অঞ্জলি! আজ যেন হটবম্ব, রইল ছবি
জীতু কমল থেকে সত্যজিৎ রায় হয়ে ওঠা। অনেকটা পিছু হাঁটা, অনেকটা অন্য রকম পথ। বেমানান লাগতেই পারত, বিতর্কের ঝড়ও বয়ে যেতে পারত। কিন্তু দর্শকদের প্রতিক্রিয়া বলছে, গরমিল নেই কোথাও। সত্যজিৎ-রূপী জীতুতে একাত্ম হতে পারছেন সকলেই। কিন্তু কী ভাবে এমন অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেললেন পরিচালক অনীক দত্ত? কেন, রূপটান শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডু আছেন যে! জীতুর কথায়, তিনিই এ ছবির নায়ক। যাঁর হাতের জাদুতে অবিকল সত্যজিৎ হয়ে উঠে এত মানুষের সামনে আসতে পেরেছেন অভিনেতা।
আরও পড়ুনঃ পল্লবী মৃত্যু তদন্তে নয়া মোড়! সাগ্নিকের পরিবার তরফে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য