ফের ট্রোলের শিকার সুদীপা, এবার করবা চৌথের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে কটাক্ষের মুখে অভিনেত্রী
ফের ট্রোল শিরোনামে সুদীপা চ্যাটার্জী, করবা চৌথের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে কটাক্ষের মুখে অভিনেত্রী!

কলকাতা: চারদিকে এখন উৎসবের মরশুম। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শেষ হল মাত্র এক সপ্তাহ আগেই। ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীপুজো চলে গিয়েছে, হয়ে গিয়েছে অবাঙালিদের করওয়া চৌথ। কিন্তু আজকাল কি আর উৎসবের বাঙালি অবাঙালি হয়? সেই কথা মনে রেখেই হিন্দিতে অনুরাগীদের করওয়া চৌথের শুভেচ্ছা জানালেন জি বাংলার রান্নাঘরের সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু একি! শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে চরম ট্রোল্ড হলেন কেন তিনি। কিন্ত কেন? চলুন জেনে নি। প্রসঙ্গত, বেশির ভাগ সময়ই নানা কারণে তিনি সংবাদের শিরোনামে থাকেন। তাঁকে নিয়ে বির্তকেরও শেষ নেই, দামি শাড়ি বিক্রি হোক কিংবা কাঁটা চামচ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়া, নানা কারণেই তাঁকে পড়তে হয়েছে বহু মানুষের সমালোচনার মুখে।
কিছুদিন আগে অবশ্য তিনি এক খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। তাঁর স্বামী বিখ্যাত পরিচালক অগ্নিদেব সেন হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। বাইপাস সার্জারি হয়েছে তাঁর, ৪-৫ ঘণ্টার ওটি হয় পরিচালকের। সব মিলিয়ে সুদীপার ব্যক্তিগত জীবনে ঝড়ঝাপ্টায় একেবারে বিধ্বস্ত। তবে সব কিছু একা হাতে সামলাচ্ছেন অভিনেত্রী। তবে এই সব কিছুর মাঝেই তিনি অন্যান্য উৎসবের মতো করবা চৌথেও সকলকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি। একটি সিঁদুরখেলার ছবি স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ক্যাপশনে হিন্দিতে লেখেন ‘সকলকে করবা চৌথ উপলক্ষে শুভকামনায় জানাই, সিঁথির সিঁদুর অক্ষয় হোক। আপনার ও আমার সিঁথির সিঁদুর স্থায়ী হোক। আপনার জীবন ইশ্বরের আশীর্বাদ ধন্য হোক।’ সুদীপা এটি পোস্ট করার পরই শুরু হয়েছে ট্রোল।
সুদীপার পোস্টে এসে লোকজন তাঁকে রীতিমত তুলোধনা করে যাচ্ছে। তিনি কেন অবাঙালি উৎসব পালন করেছেন, কেন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার জন্য শুনতে হয়েছে নানা কটূ কথা। এক ব্যক্তি লেখেন, ‘ওটা আর রান্নাঘর নেই, গুটখাবিলাস হয়ে গিয়েছে।’ আরেকজন লেখেন, ‘লজ্জা করে না বাঙালি হয়ে বাংলার কালচার না মেনে অবাঙালি সাজার চেষ্টা করছেন। আপনাদের জন্যই আজকে বাংলার, বাঙালির এই দশা।’ কেউ আবার লেখেন, ‘এসব সংস্কৃতি আমাদের নয়। আমরা পূর্ণিমার চাঁদ দেখি, চাঁদ দেখে বরের মুখ দেখি না।’ ‘আপনি আবার কবে থেকে অবাঙালি হয়ে গেলেন? এই দুদিন আগেও তো বাঙালি অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের বউ ছিলেন,’ মন্তব্যে অন্য আরেক নেটিজেনের। কেউ কেউ তাঁকে তুলোধনা করে লেখেন, ‘আপনাদের জন্যই বাংলার আজ এই দুরাবস্থা। কটা অবাঙালি শুভ বিজয়া বলল, শুভ দীপাবলি বলে, কটা অবাঙালি শুভ দোলযাত্রা বলে? আপনারা যতক্ষণ না বাঙালি জাতিকে শেষ করতে পারছেন ততক্ষণ চালিয়ে যান। আপনাদের মতো লোকরাই বাংলা সংস্কৃতিকে কবরে পাঠাবেন।’ তবে কেউ কেউ আবার প্রশংসাও করেন। একজন লেখেন, ‘আপনাকেও শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।’ ‘ভীষণ ভালো থাকবেন। ভালো লাগছে আপনাকে’ মন্তব্য আরেকজনের।তবে এইসব কিছুকে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দেননি।