বাড়ছে উদ্বেগ! সময়ের হাত ধরে অসুস্থতায় ভেঙে পড়ছেন বাঙালির প্রাণ তরুণ মজুমদার

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: হাসপাতালে ভর্তি প্রখ্যাত বাঙালি পরিচালক তরুণ মজুমদার ( Tarun Majumdar )। শারীরিক অসুস্থতা অনুভব হওয়ায় মঙ্গলবার কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। তবে গোটা একটা দিন কেটে গেলেও শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি পরিচালকের। এসএসকেএম হাসাপাতালের সিসিইউতে ভর্তি রয়েছেন তরুণ মজুমদার। হাসপাতাল সূত্রের খবর গতকালের তুলনায় পরিচালকের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটছে।
৯২ বছর বয়সী এই পরিচালক বিগত বাইশ বছর ধরে ভুগছেন তাঁর কিডনি এবং হৃদরোগ জনিত রোগে। এছাড়াও ফুসফুসের সমস্যাও রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি ডায়াবেটিসের রোগী তিনি। শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাঁর ( Tarun Majumdar )। গত সপ্তাহে শারীরিক কিছু অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তরুণ মজুমদারকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন।
এসএসকেএম ( SSKM ) হাসপাতাল সূত্রে খবর, বৃক্ক এবং হৃদযন্ত্রে সমস্যার পাশাপাশি চেস্ট ইনফেকশনও রয়েছে তাঁর। বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালের ডা. সোমনাথ কুণ্ডু এবং সৌমিত্র ঘোষ সহ পাঁচজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের টিম তাঁর চিকিৎসা করছে। তবে স্বস্তির কথা একটাই এখনও পর্যন্ত কোভিড নেগেটিভই রয়েছে তাঁর। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসকরা জানান, তিনি এখনও বিপদমুক্ত নন, তবে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন পরিচালক। কিন্তু আজ আবার অবনতি ঘটল পরিচালকের ( Tarun Majumdar ) শারীরিক অবস্থার।
ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অবদানের অনস্বীকার্য। তাঁর এই কাজের জন্য চারটি জাতীয় পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে আছে সাতটি বিএফজিএ ( BFGA ) এবং পাঁচটি ফিল্মফেয়ারের মত পুরস্কার। ১৯৯০ সালে ভারত সরকার পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে তাঁকে। জানা গেছে প্রখ্যাত এই বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতা তার পরবর্তী চলচ্চিত্রের লোকেশন দেখতে যাওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তাঁর কিছু বিখ্যাত ছবি হল ১৯৫৯ সালে উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেনের সঙ্গে ‘চাওয়া পাওয়া’, ‘স্মৃতি টুকু থাক’ ( ১৯৬০ )। ‘কাচের স্বর্গ’ ( ১৯৬২ )। ‘কাচের স্বর্গ’ এই ছবির জন্যই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর পলাতক (১৯৬৩), নিমন্ত্রণ (১৯৭১), সংসার সীমান্তে (১৯৭৫), গণদেবতা (১৯৭৮) ছবিগুলিও প্রভূত প্রশংসা পেয়েছে। এছাড়াও বালিকা বধূ (১৯৬৭), কুহেলি (১৯৭১), শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (১৯৭৩), ফুলেশ্বরী (১৯৭৪), দাদার কীর্তি (১৯৮০), ভালোবাসা ভালোবাসা (১৯৮৫), ‘আপন আমার আপন’- এর মতো বক্স অফিস কাঁপানো ছবি গুলিও তৈরি হয়েছে প্রবাদ প্রতিম পরিচালক তরুণ মজুমদারের ( Tarun Majumdar ) হাত ধরেই।