Bengali Serial: বয়স বাড়লেও গুণের কমতি নেই সাবুদির,জন্মদিনে রহস্য ফাঁস করলেন মানালি
রিমা শিয়ালী, কলকাতা: কোনো মানুষের কাজ করার সদিচ্ছা থাকলে বয়স কেবলই একটি সংখ্যা মাত্র।এরই জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। বাংলা অভিনয় জগতে অসীম প্রতিভার অধিকারী ছিলেন এই তারকা। অভিন্ন বাংলাদেশে জন্ম হওয়া এই অভিনেত্রী পরে পরিবারসহ ভারতে চলে আসেন। সেই থেকেই বিভিন্ন সাদাকালো ছবি থেকে আজকের দিন পর্যন্ত তিনি অভিনয়কে ( acting) নিজের জীবন থেকে ত্যাগ করেননি।গতকাল ভাষা দিবসের দিন নিজেরও জন্মদিন পালন করেন অভিনেত্রী।উইকিপিডিয়ায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কাল ৮৫ বছরে পা রাখলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী।তবে বয়স বাড়লেও প্রতিভা কোনো অংশে কমে যায়নি তার। এখনও তিনি তাঁর অভিনয় জীবন (acting career)চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি ‘ধূলোকণা’ নামক একটি বাংলা ধারাবাহিকে (Bengali serial)অভিনয় করছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।আর সেই ধূলোকণা ধারাবাহিকের মূল চরিত্র ফুলঝুরি অর্থাৎ মানালির মুখেই ফাঁস হল সাবিত্রী দেবীর একটি গোপন প্রতিভা। গতকালই সাবিত্রী দেবীর জন্মদিন উপলক্ষে একটি সংবাদপত্রের সাক্ষাৎকারে সাবিত্রী দেবীর গোপন প্রতিভার বিষয়ে মুখ খোলেন মানালি।
‘আমাদের সম্পর্কে একটি মধুরতা আছে’
সাবিত্রী দেবীর সাথে কাজ করার পূর্বে অতটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক না থাকলেও ধূলোকণা ধারাবাহিকে একসাথে কাজের সুবাদে সাবিত্রী দেবীর সঙ্গে মানালির সম্পর্ক আরও মধুর হয়ে যায়। আর সেই থেকেই মানালি সাবিত্রী দেবীকে সাবু দি নামে ডাকতে শুরু করেন। অনস্ক্রিন এর মত অফস্ক্রিনেও তাদের দুজনের সম্পর্ক খুবই ভালো। সাবিত্রী দেবী নাকি আসলেই মায়ের মত এমনটাই বক্তব্য মানালির।
‘খুবই ডাউন টু আর্থ সাবু দি’
ধুলোকণার ফুলঝুরির মুখেই জানা যায় সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এর ডাউন টু আর্থ পারসোনালিটির কথা। এত বয়সের পরেও তিনি নাকি খুবই ফিট। এছাড়াও প্রতিটা শট নাকি একেবারে নিখুঁত করতেই পছন্দ করেন অভিনেত্রী। একজন সিনিয়র অভিনেত্রী হয়েও আন্তরিকতার কোনও তুলনাই হয়না সাবিত্রী দেবীর। এছাড়াও জানা যায় খুবই মাটির মানুষ সাবিত্রী দেবী।
‘সেটে মাঝে মাঝে বকেও দেন’
মানালির মুখ থেকেই জানা যায় সেটে অনেকবারই সাবিত্রী দেবীর কাছে বকুনি খেতে হয়েছে তাকে। তবে সেই বকুনি অত্যন্ত স্নেহের। কিভাবে একটি সিন আরও সুন্দর হয়ে উঠবে সে বিষয়েই বকুনি দিতেন সাবিত্রী দেবী। বোকার পরে বকুনি খেয়ে কেউ কিছু মনে করল কিনা তাও একবার খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করে নিতেন।
আরও পড়ুন:শিশুদের মধ্যেও বাড়ছে ডায়বেটিসের পরিমাণ, কোন কোন বিষয়ে সতর্ক করছেন গবেষকেরা
‘সাবু দি-র রান্না অতুলনীয়’
অভিনয়ের পাশাপাশি সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় ছিলেন অতুলনীয় এক রাধুনী।রান্না অত্যন্ত সাধারণ হলেও সেটা খেতে নাকি খুবই সুস্বাদু।সাক্ষাৎকারে সাবিত্রী দেবীর রান্নার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন মানালি।তবে লোক খাওয়াতে ভালোবাসলেও নিজে খুব একটা খেতে পছন্দ করেন না সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। শেষে মানালি সাবিত্রী দেবীর সুস্থতা কামনা করেন। এবং জানান এখনো সাবু দির কাছ থেকে তার অনেক কিছুই শেখার বাকি।
আরও পড়ুন:Ham Radio : রেডিও চেনাল ঘর, বেতারের হাত ধরেই পুরনো ঠিকানায় ৫ মানসিক ভারসাম্যহীন