“কাজের জন্য ভিক্ষা চাইতে সম্মানে লাগে”, উত্তম কুমারের নায়িকা হয়েও আজকাল কর্মহীন কল্যাণী

জয়িতা চৌধুরী, কলকাতা: বয়স ৮০ পার করেছে। তবে তাতে কী! এতো শুধু সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে। তা নাহলে তিনি এপ্রজন্মের হাঁটুর বয়সীদেরও অভিনয়ে দিব্যি টেক্কা দিতে পারেন। আর সেটাই বেশ ভালোভাবে দেন কল্যাণী মণ্ডল ( Kalyani Mondal )। প্রচুর সিরিয়ালে ( Bengali serial ) অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। তবে বড়ো পর্দায়ে খুব একটা বেশি আনাগোনা নেই এই বর্ষীয়ান প্রতিভাবান অভিনেত্রীর। কিন্ত কেণ?
এককালে কল্যাণী দেবী কাজ করেছেন মহানায়ক উত্তম কুমারের সাথে। ছোট পর্দায়ে বেশ দাপটের সাথে অভিনয়ও করেছেন দীর্ঘদিন। কিন্ত বড়ো বড়পর্দায় এখন ব্রাত্য কেন? এক সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাতকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, আজ পর্যন্ত তার সৌভাগ্য হয়নি বড়ো পর্দা থেকে ডাক পাওয়ার। তবে তার খুব ইচ্ছা আছে ভাল ভাল চরিত্রে অভিনয় করার। তবে কোনো দিন কাউকে ফোন করে কাজ চাননি বা বলতে পারেননি।
তিনি আরো যোগ করেন এখন নাকি বাংলা ইন্ডাস্ট্রি ঘরভিত্তিক হয়ে গিয়েছে। তাদের বাঁধাধরা শিল্পী থাকে যারা শুধু তাদের হয়েই কাজ করেন। তবে কোনো দিন কাউকে ফোন করে কাজ চাননি বা বলতে পারেননি। যখন যে কাজ পেয়েছেন তাই করেছেন হাসি মুখে। তবে এখন যুগ বদলেছে কিনা জানা নেই তার। বহুদিন রুপোলি পর্দার সাথে যোগযোগ নেই তার। ফোন করে কাজ চাইতে গেলে তিনি দ্বিধা বোধ করেন।
কেরিয়ারের শুরুর দিকের কথা মনে করে অভিনেত্রী বলেন যখন তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন তখন তার বয়স অনেক কম ছিল। বড়পর্দায় উত্তম কুমারের সঙ্গে ‘সন্ন্যাসী রাজা’, ‘আলো আমার আলো’, ‘আপন শত্রু’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। তখন ছবির সেটে সকলেই একটি পরিবারের মতন ছিল।
স্মৃতিচারণ করে অভিনেত্রী বলেন, উত্তম কুমারকে ‘জেঠু’ বলে ডাকতেন তিনি। মহানায়কের বাড়ি থেকে দুপুর বা রাতের খাবার এলে ছোট্ট কল্যাণীকে ডেকে নিতেন তিনি মেকআপ রুমে।
পাত সাজিয়ে সামনে বসিয়ে খাওয়াতেন মহানায়ক। এখনও কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে কাজ করলে পরিবারের মতন থাকা যায়। এই মুহুর্তে কল্যাণী দেবী অভিনয় করছেন ‘উড়ন তুবড়ি’ ধারাবাহিকে। পরিবারের মাথা হলেও ধারাবাহিকে তাঁর চরিত্রটি বেশ মজাদার। এর আগে জি বাংলার ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ সিরিয়ালে ঠাম্মির চরিত্রে অভিনয় করছিলেন তিনি। বলা বাহুল্য, অল্প সময়েই দর্শকদের প্রিয় ঠাম্মি হয়ে উঠেছেন প্রতিভাবান বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কল্যাণী মণ্ডল।