Kuler Achaar : সাত পাকে বিক্রম-মধুমিতা! স্বাদে একেবারে টক-ঝাল-মিষ্টি তাঁদের প্রেম কাহিনী

‘কুলের আচার’ নাম শুনেই জিভে জল এসে গেল তাই না! কিন্তু এই আচার খাবার নয়, সিনেমা। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এস ভি এফ অরজিনালসের ( svf ) নতুন ছবি ‘কুলের আচারে’র ( kuler achaar ) ট্রেলার। কার্যত সিনেমার নাম ঘিরেই দর্শকমহলে তৈরি হয়েছে চাপা কৌতুহল। তবে আরো উৎসাহ সিনেমার নায়ক নায়িকা জুটিকে ঘিরে।এই প্রথমবার একসঙ্গে বড়পর্দা শেয়ার করবেন মধুমিতা- বিক্রম ( Madhumita Sarcar )। সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেতা থেকে সিরিজে জাঁকিয়ে অভিনয় , বিক্রমকে পছন্দ করেন বাংলা টেলিভিশনের দর্শক। ওদিকে মধুমিতাকে বোঝে না বোঝে না ধারাবাহিকের ব্যাপক সাফল্যের পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি।একের পর এক সিনেমায় চমৎকার অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী। তবে বড়ো পর্দায় কেমন হবে মধুমিতা-বিক্রমের ( Vikram chatterjee )প্রেমের রসায়ন? তার স্বাদ নিতে উৎসুক দর্শক।
সুদীপ দাসের (Sudip Das) পরিচালনায় কুলের আচার সিনেমায় দেখা যাবে ইন্দ্রানী হালদারকে ( Indranee Halder )। প্রায় পাঁচ বছর পর বড়ো পর্দায় ফিরছেন অভিনেত্রী।সঙ্গে থাকছেন নীল মুখোপাধ্যায়।একটি সম্পূর্ণ পারিবারিক টক-ঝাল-মিষ্টি রসায়নের ছবি ‘কুলের আচার’। কিন্তু তার মধ্যেও থাকছে অনেক টুইস্ট আর সমাজের বার্তা।সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৫ জুলাই বড়ো পর্দায় সিনেমার প্রকাশের জন্য।
এবার আসি ট্রেলার প্রসঙ্গে, মিঠি আর প্রীতম নব দম্পতি। কিন্তু মিঠি আজকালকার দিনের মেয়ে।সে নিজের পদবী বদলাতে চায় না। মেয়েদের মূল সমস্যা বিয়ের পর পদবি নিয়ে। এই ‘পদবীর পদাবলী’ হয়ে উঠেছে গল্পের প্রধান চরিত্র। গল্পে স্বামী স্ত্রীর পদবি আলাদা হওয়ার জন্য নবদম্পতিকে মধু চন্দ্রিমায় গিয়েও পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে হয়। পরিবার ও সমাজের চাপে পদবী বদলানোর জন্য দাম্পত্য জীবনে ঘটতে থাকে হরেক রকম কান্ড। প্রথম সমস্যার শুরু শ্বশুরবাড়িতে। তার এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ শ্বশুর -শাশুড়ি – প্রণোতোষ ও মিতালি। বিয়ের পর পদবী না বদলানোয় নানা রকম কটাক্ষ, নিন্দা, শুরু হয়ে যায় প্রতিবেশী মহলেও।এমনকি শাশুড়ি চরিত্রে ইন্দ্রানী ও শ্বশুর চরিত্রে নীলকেও এই ঝঞ্ঝাটে অংশ নিতে দেখা যায়। সিনেমায় গল্পের পাশাপাশি রয়েছে অসংখ্য কমিক রিলিফ।কান্ড কারখানা দেখে হাসতে হাসতে খিল ধরে যেতে পারে দর্শকের। সিনেমায় শুধু টক,ঝাল নয়,শেষ পর্যন্ত মিষ্টি ছোঁয়া আসে কিনা তার জন্য অবশ্যই দেখতে হবে কুলের আচার।
View this post on Instagram
আসলে ‘কুলের আচার'( Kuler Achaar ) নামের একটি গভীর অর্থ রয়েছে।যেখানে কুল মানে বংশ।আর আচার মানে আচার- বিচার। পুরুষতান্ত্রিকতার চাপে আজও বংশের মান মর্যাদা আচার বিচার যে গোঁড়ামির জন্ম দেয় তাতে জেরবার হয় বাড়ির বৌ মেয়েরা। গল্পের মোড়কে সেই বার্তাই পৌঁছে দিতে চান পরিচালক। সেই কারণেই ইন্দ্রানী হালদার এক মজাদার ডায়লগ বলেন,” যাবার আগে না, তোমাদের এই সেন কূলে সরষের তেল ঢেলে কুলের আচার বানিয়ে তোমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে যাব।”