জাতীয় পুরস্কার নেই শানুর কাছে, বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি
আগস্ট মাসের শেষের দিকে এ বছরে জাতীয় পুরস্কারজয়ীদের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। ৬৯তম জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে সেরা গায়কের পুরস্কার পেয়েছেন কাল ভৈরব। দক্ষিণ ভারতের সুপার হিট অস্কারজয়ী সিনেমা ‘নাটু নাটু’ গান তাঁর গলায় গাওয়া। অন্যদিকে সেরা গায়িকার সম্মান গেছে শ্রেয়া ঘোষালের পকেটে।

শুভঙ্কর, কলকাতা: ৯০ দশকের শুরু। এক বাঙালি ছোকরার বলিউডে গানের ইচ্ছে। প্রথম কয়েকটা গান প্রকাশিত হওয়ার পরেই সোরগোল পড়ে গেল চারিদিকে। একটাই নাম ঘুরে বেড়াচ্ছে তখনই ভারতের সংগীত জগতে। ‘কুমার শানু’। তাঁর গাওয়া গানে বুঁদ হয়ে যায়নি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যে-কোনও নায়কের গলায় নিজেকে বসিয়ে নিতেন তিনি। পাঁচবার ফিল্মফেয়ার সেরা গায়ক হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন। ২০০৯ সালে ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তবে আজও জাতীয় পুরস্কার ওঠেনি এই গায়কের হাতে। এই পুরস্কার না পাওয়া নিয়ে এবার অভিমানের সুর ধরা পড়লো তাঁর গলায়।
আগস্ট মাসের শেষের দিকে এ বছরে জাতীয় পুরস্কারজয়ীদের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। ৬৯তম জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে সেরা গায়কের পুরস্কার পেয়েছেন কাল ভৈরব। দক্ষিণ ভারতের সুপার হিট অস্কারজয়ী সিনেমা ‘নাটু নাটু’ গান তাঁর গলায় গাওয়া। অন্যদিকে সেরা গায়িকার সম্মান গেছে শ্রেয়া ঘোষালের পকেটে। এই বাঙালি গায়িকাকে সেরা সম্মান পেতে কুমার শানু নিজেও খুশি। তবে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে সংগীত জগতের সঙ্গে যুক্ত তিনি কিন্তু পাননি জাতীয় পুরস্কার। সেই বিষয়ে সম্প্রতি মুখ খুলে মনের চাপা রাগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “ আমার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল বলে আমি মনে করি। পদ্মভূষণও আসা উচিত ছিল । তবে এইগুলোকে নিয়ে আমি এখন আর ভাবি না। হ্যাঁ একটা কষ্ট তো লাগেই। তবে আমি বুঝতে পেরেছি তেল দেওয়ার ক্ষমতা বেশি না থাকলে এই সম্মান পাওয়া যায় না”। কিছুটা আক্ষেপের সুরেই কিংবদন্তি এই গায়ক বলেন, ‘আমি কখনও এইসব নিয়ে মাথা ঘামাইনি। কে কী করছে, তাতে আমার যায় আসে না। সরকারের যখন মনে হবে তখন পুরস্কার দেবে। দিতে না চাইলে এখানে আমার কিছু করার নেই। তাই এসব নিয়ে ভাবা বন্ধ করে দিয়েছি”।
একদিনে ২৮ টি গান গেয়ে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলেছিলেন বাঙালি এই গায়ক। কর্মজীবনে উচ্চতার শিখরে বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছে তবে জাতীয় পুরস্কার পান। এখন কতটা পাবে সে নিয়ে সংশয় রয়েছে সবার মনে।