শহরে একের পর এক আত্মহত্যা করছেন মডেলরা! নেপথ্যে কারণ বিশ্লেষণ করলেন লালকুঠির রাহুল

জয়িতা চৌধুরী, কলকাতা: কিছুদিন আগেই অভিনেত্রী পল্লবী দের (Pallavi Dey) আকস্মিক মৃত্যুকে ঘিরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল বিনোদন জগতে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গতকাল আরেক উঠতি মডেল বিদিশা দে মজুমদারের (Bidisha Dey Majumder) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় দমদম পুরসভার আট নম্বর ওয়াডের রামগড়ে একটি বহুতলের তেতলার ফ্ল্যাট থেকে। আজ সকালে আবার বিদিশার এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী মঞ্জুষা নিয়োগীর (Manjusha Neogi) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বাড়ি থেকেই।
প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে একই কৌশলে আত্মহত্যা। তবে এই মৃত্যুগুলির নেপথ্যে কারণগুলি কি? এখনও অবধি করা পুলিশি তদন্তে যে কারনগুলি উঠে আসছে তা হল মানসিক অবসাদ। আর এই পর পর হতে থাকা অভিনেত্রীদের রহস্য মৃত্যু নিয়ে নিজের মন্তব্য রাখলেন অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় ( Rahul Arunodoy Banerjee )। বর্তমানে জি বাংলায়ে লালকুঠি ( Lal Kuthi ) ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন তিনি।
তিন অভিনেত্রীর মৃত্যু কি শুধুমাত্র মানসিক অবসাদের কারণেই হয়েছে? জানতে চাইলে রাহুল বলেন ঘটনাগুলি খুবই দুঃখজনক। তার মতে, ‘মানসিক দৃঢ়তার যেমন প্রয়োজন তেমনি মন ও তো থাকে! দুটোর একসাথে সহাবস্থান বেশ কঠিন। কারণ নরম মনে মানুষ হলেও ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে হলে মানসিক ভাবে দৃঢ় হওয়াটা খুবই প্রয়োজন।“ আত্মহত্যার প্রসঙ্গে অভিনেতা আরও যোগ করেন, “আমি সত্যিই জানি না ঠিক কেন এমন হচ্ছে। প্রত্যেকের আত্মহত্যার পিছনে কারণ ভিন্ন হতে পারে। তবে এটা খুবই দুঃখজনক যে মানসিক অবসাদের চিকিৎসা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে বাধ্যতামূলক নয়’।
রাহুল নিজের অভিজ্ঞতায় এক দুর্ঘটনার কথা মনে করে বলেন ‘তুমি আসবে বলেই’ সিরিয়ালে কাজ করেছেন রাহুল ও অভিনেত্রী দিশা গঙ্গোপাধ্যায়। সিরিয়াল চলাকালীন হটাৎই একদিন দিশার আত্মহত্যার খবর আসে তার কাছে। অথচ যেদিন আত্মহত্যা করেন তার আগের দিনেও স্বাভাবিক ছিলেন অভিনেত্রী। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে আরও জানা রাহুল ক্যান্ডিক্রাশ এর একটি লেভেলে আটকে গেছিলেন দিশার মারা যাওয়ার আগেরদিন। দিশা সেটাও পেরোতে সাহায্য করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ জিরো নয়, মোটা ফিগারে কাঁপাচ্ছেন বিনোদন জগৎ! এক নজরে দেখে নিন এই ৩ দক্ষিণী অভিনেত্রীদের
আরও পড়ুনঃ যৌনকর্মীদের আইনি স্বীকৃতি! রেহাই কি মিলবে দৈনিক পুলিশি চোখ রাঙানি থেকে?
তিনি আরও একটি বিষয় তুলে ধরেন যে, “ বর্তমানে অনেকেই কলকাতার বাইরে থেকে কলকাতা শহরে এসে থাকছে। নিজের অভিনয়ের প্যাশনকে পেশা করে তোলার তাগিদে বা অন্যকোন প্রফেসনে। এতে কাজের সুবিধা হচ্ছে ও ঠিক কাজও বটে, তবে দিনের শেষে মা বাবার কাছে যেমন সমস্ত কথা, খারাপ লাগা, ভালো লাগা, শেয়ার করে নেওয়া যায় সেটা আর করা যায় না। এটা খুবই খারাপ একটা দিক, মা-বাবার সাথে কথা বলতে পারলে অন্তত এমন চরম সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার থেকে বিরত থাকার রাস্তা পাওয়া অনেকটা সহজ হত।“
আরও পড়ুনঃ ১৩তে বিয়ে, ১৫তে মা! পেটে ভাত জোটাতে দাদা প্রসেনজিতের সঙ্গে বিক্রি করতেন চা