হেরে গিয়েও ঘুরে দাঁড়িয়েছি! রবীন্দ্রনাথের গানে পেয়েছি বেঁচে থাকার জীবনীশক্তি, কেন এমন বললেন ঋতু?

রাখী পোদ্দার, কলকাতা : আজ ২৫শে বৈশাখ। রাজ্য জুড়ে পালন করা হচ্ছে কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী। এই দিনটি আপামর বাঙালির কাছে অত্যন্ত গর্বের একটি দিন। তাঁর অবদান শেষ হওয়ার নয়। বাংলা তথা ভারতীয় সংস্কৃতিতে তাঁর অবদান অসামান্য। শুধু রাজ্য জুড়ে নয় দেশ বিদেশেও মহা আড়ম্বরের উদযাপন করা হয় এই দিনটিকে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে নিজের মনের বাসনা সকলের সামনে তুলে ধরেছেন টলি ( Tollywood) অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ( Rituparna Sengupta)। অভিনেত্রী বলেছেন, তাঁর সেই দিনটির কথা খুব মনে পড়ে। তাঁর বাবা তখন মৃত্যুশয্যায়। তখন তাঁরা সবাই ভীষণ কষ্টে ছিলেন। বাবা তখন মৃদুস্বরে বললেন ‘মনে কী দ্বিধা রেখে চলে গেলে’ গানটি গাইতে। এই মুহূর্তটা আজও ভাবলে অভিনেত্রীর আশ্চর্য লাগে যে রবি ঠাকুর আমাদের জীবনের অস্তিত্বের কতটা গভীর বাস করেন। শান্তিনিকেতনের আশ্রম ছাড়ার সময় এই গানই শেষবার শুনতে চেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ( Rabindranath Tagore)। তিনিই আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি-অস্তিত্ব-ভাষা সবকিছু।
মানুষের জীবনে যখনই নেমে আসে অন্ধকার তখনই রবীন্দ্রনাথ ( Rabindranath Tagore) তাঁর চেতনায় আমাদের অন্তরের সমস্ত আঁধার দূর করে দেয় নিমেষে। প্রদীপ জ্বেলে সমস্ত অন্ধকার কাটিয়ে আলোর দিশা দেখান তিনি। অভিনেত্রী বলেন, আমাদের সকলের জীবনে ছোটবেলা থেকেই গানে, কবিতায়, নৃত্যনাট্যে, বন্ধু হিসেবে কিংবা গুরুদেব হিসেবে তিনি সঙ্গে থেকেছেন সবসময়। হয়তো বাঙালি বলেই আমরা এই সৌভাগ্যের অধিকারী হতে পেরেছি।
আরও পড়ুন : একি হাল সারা আলী খানের! রাস্তায় ছেলে ধরে সেলফি তুলে টাকা চাইছেন অভিনেত্রী, দেখুন ভিডিও

ঋতুপর্ণা ( Rituparna Sengupta) বলেন, জীবনে যখনই কোনও প্রতিকূল অবস্থার সম্মুখীন হয়েছি তখনই রবি ঠাকুরের ‘পুরোনো সেই দিনের কথা’ গানটা যেন মুহূর্তের মধ্যে পুরোনো ফেলে আসা জীবনের ভালবাসার কথা মনে করিয়ে দেয়। আমাদেরকে সাহায্য করে সামনে এগিয়ে যেতে। মানব জীবন হল খুবই অমূল্য এক সম্পদ। আর তাই জীবনের কোনও ক্ষেত্রেই আশা-ভালবাসা-ভরসা ছাড়তে যে নেই, সে কথা যেন বারেবারে আমাদেরকে শিখিয়েছেন রবি ঠাকুর।
আরও পড়ুন : কমলা অন্তর্বাসে লাস্যময়ী নুসরত! ছবি দেখে বসিরহাটের কলঙ্ক বলে কটাক্ষ নেটিজেনদের

ঋতুপর্ণা ( Rituparna Sengupta) মনে করেন, তিনি সত্যিই ভাগ্যবান। রবি ঠাকুরের ‘পূজারিণী’, ‘শাপমোচন’, ‘চিত্রাঙ্গদা’, ‘মায়ার খেলা’-র মতো অনন্য সৃষ্টিকে সকলের সামনে তুলে ধরতে পেরেছেন। তিনি আরও বলেন, তাঁর বেশ কিছু ছবিতে রবীন্দ্রসংগীতের উপস্থিতি ছিল। তাঁর প্রিয় ছবি তরুণ মজুমদারের ‘আলো’ সেখানেও রবীন্দ্রনাথের ( Rabindranath Tagore) গান যেন ছবিটাকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিল। এছাড়াও ‘দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ওপারে’ বা ‘শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে’র অনন্য গান তৈরি করেছে অসামান্য সমস্ত মুহূর্ত। ঋতুপর্ণা আরও বলেন কাজের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের ব্যাপ্তি যেন আরও অনেক ভাল ভাবে অনুভব করতে পারেন তিনি। প্রাণের পুরুষ রবি ঠাকুর সামনে আছেন বলেই আজও নিজেদের মূল্যায়ন এবং সংশোধন করতে পারেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ( Rituparna Sengupta)।