তিনি ‘পাগল’, স্বীকার করলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র, কাঁদলেন আর বললেন..
Sreelekha Mitra: হাউহাউ করে কেঁদেই যাচ্ছিলেন অভিনেত্রী। চোখের জল যেন থামতেই চাইছিল না তাঁর। কাঁদতে কাঁদতেই বলে উঠলেন, 'আমি সত্যি পাগল। পাগল আমি।'

নিজেই নিজেকে পাগল বলে কেউ? সবই যেন সম্ভব তাঁর জন্য। একেবারে নিজের মুখেই নিজেকে ‘পাগল’ তকমা দিয়ে ডুকরে কেঁদে উঠলেন শ্রীলেখা মিত্র। মানসিকভাবে ভেঙে পরতে দেখা গেল তাঁকে। কিন্তু হঠাৎ কেন জুড়লেন কান্নাকাটি? তাও আবার বাইরে।
কলকাতার বাড়ির নীচের তলায় লিফ্ট দিয়ে উপরে ওঠার সময় নিজের মানসিক স্থিতি নিয়ে এই চুড়ান্ত কথা বলেন তিনি। হঠাৎ নিজেকে ‘পাগল’ বলা, চোখ মুখ লাল করে কেঁদে ওঠা, এসব কীসের লক্ষণ? ড্রিপ্রেশন? অ্যানজাইটি? বর্তমান সময়ে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যথেষ্ট সচেতন যুব সমাজ। এর মাঝেই শ্রীলেখার এই ‘অদ্ভুতুড়ে’ কাণ্ড। নিজেকেই কাঁদতে কাঁদতে শুট করেন তিনি। এর কারণ কোনও মানসিক অশান্তি কি? নাকি অন্য কিছু। সবই বললেন খুলে…
হাউহাউ করে কেঁদেই যাচ্ছিলেন অভিনেত্রী। চোখের জল যেন থামতেই চাইছিল না তাঁর। কাঁদতে কাঁদতেই বলে উঠলেন, ‘আমি সত্যি পাগল। পাগল আমি।’ কয়েকদিন আগে ‘মিঁয়া সাহেব’ কে ঘরে তুলেছেন তিনি। আদর যত্নে বড় করে তুলছেন প্রাণীটিকে। কিন্তু বাড়ি থেকে নামার পর মিঁয়ার গন্ধ তাঁর শরীরে লেগে রয়েছে, এর টানেই আরও বেড়াল কাছে চলে এসেছে। মায়ার জালে পড়ে অঝোরে কেঁদে চলেছেন ‘ঠোঁটকাটা’ এই অভিনেত্রী। ইচ্ছেপ্রকাশ করেন, একদিন বড় বাড়ি নিয়ে ওদের সকলকে রাখব। যত্ন নেব।
বলতে থাকেন, ‘জানি আমি পাগল। ওদের প্রেমে পাগল। ওদের জন্য কিছু করতে পারি না। এই কান্না মিথ্যা নয়। যাঁরা বলেন মিথ্যা, তাঁদের বলব কিসসু যায় আসে না আমার। আমার কিচ্ছু চাই না। একটা বিরাট বড় বাড়ি চাই। সেই বাড়িতে আমি ওদের রাখব।’