Sreelekha Mitra: শ্রীলেখার শ্রী মুছল চিরদিনের মত! চোখের উপর পড়ল ১৭ টা সেলাই, ব্যাপারটা কী?

রাখী পোদ্দার, কলকাতা : সুন্দর চাঁদেও যেরকম রয়েছে কলঙ্ক, তেমনি এবার শ্রীলেখার শ্রী মুখেও ফুটে উঠল কলঙ্ক। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই একটা প্রশ্নই সকলের মনে ভিড় জমাচ্ছে। আর তা হল কি হয়েছে শ্রীলেখা মিত্রর ( Sreelekha Mitra)? কেনই বা তাঁর চোখের কোণে বাঁধা রয়েছে এমন ব্যান্ডেজ? কোনো সিনেমার শুটিংয়ের নতুন লুক নাকি সত্যি সত্যি আহত হয়েছেন টলিউডের ( Tollywood) এই সুন্দরী? সপ্তাহ খানেক আগেই হাসপাতাল থেকে একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। চোখের উপরে বড়সড় ব‍্যান্ডেজ থাকা সত্ত্বেও হাসিমুখে ছবি তুলে তা শেয়ার করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। ব্যাস এই টুকু লিখেই চুপ ছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু আসলে হয়েছিলটা কি তাঁর? তা পরিষ্কার করে বলেননি অভিনেত্রী।

অবশেষে অস্ত্রোপচারের দিন কয়েক পর এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী ( Sreelekha Mitra)। নিজের একটি ছবি ভক্তদের সাথে শেয়ার করে নেন তিনি। আর সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ভেজা চুল এলোমেলো হয়ে উপচে পরছে তাঁর মুখমণ্ডলে।কিন্তু সবচেয়ে আগে যে বিষয়টি ছবি দেখলে নজরে পড়ে তা হল, চোখের নিচে কালশিটে দাগ পড়ে বেশ অনেকটা ফুলে গেছে তাঁর চোখ। আর ক‍্যাপশনে শ্রীলেখা লিখেছেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমার একটি শরীরচর্চা করার রিল ভিডিওতে লিখেছিলাম, ‘ব‍্যথা ভাল লাগে’। ঠিক দুদিন পর এই দুর্ঘটনা।’

একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ‍্যমে শ্রীলেখা ( Sreelekha Mitra) জানান, ভোরবেলায় ঘুমের ঘোরে বেসিনের ধারালো কোনায় ধাক্কা খেয়েছিলেন তিনি। এরপরই চোখের উপরে চামড়া ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে সঙ্গে সঙ্গে। গলগল করে ঝরতে থাকে রক্ত। সকলে ঘুমাচ্ছে দেখে কাউকে ঘুম থেকে তোলেননি অভিনেত্রী। প্রায় ৪ ঘন্টা নিজের আইস প‍্যাক চেপে শুয়েছিলেন তিনি। তারপর প্রিয়জনেরা তাঁর পাঠানো ছবি দেখে ছুটে আসেন। এবং তাঁকে নিয়ে যান হাসপাতালে। সেখানে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয় অভিনেত্রীর। ১৭ টা সেলাই পড়ে তাঁর চোখের ওপরের অংশে।

তবে এতো নেতিবাচক দিকগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক দিক দেখছেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর কথায়, চোখটা বড়ো বিপদের হাত থেকে বেঁচে গেল তাঁর। এটাই ঈশ্বরের আশির্বাদ। এটাকে সামান্য একটা দুর্ঘটনার মতোই দেখছেন অভিনেত্রী। আর সাথে সাথে তাঁর ভক্ত ও অনুরাগীদের পার্থনার জন্য তাঁদের ধন্যবাদও জানান শ্রীলেখা মিত্র ( Sreelekha Mitra)।




Leave a Reply

Back to top button