Tramila Bhattacharya : পুরুষতান্ত্রিক ইন্ডাস্ট্রি! সাংঘাতিক প্রস্তাব পেয়ে যেন রাতের ঘুম উড়েছিল ত্রমিলার

নেহা চক্রবর্ত্তী, কলকাতা: টলিউড ইন্ডাস্ট্রি তথা বাংলা সিরিয়ালের চেনা মুখ ত্রমিলা ভট্টাচার্য। তিনি অভিনয় জগতে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছেন বহু বছর হল। যিশু সেনগুপ্তর নায়িকা হিসেবে তাঁকে দেখা গিয়েছে একাধিকবার। যদিও টেলিভিশনের দর্শক তাঁকে চিনলেও বড় পর্দায় তিনি পরিচিতি মুখ নন সেভাবে। কেরিয়ারে এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও কেন তিনি বড় পর্দার লাইমলাইটে আসেননি! আসুন জেনে নেওয়া যাক ।
ত্রমিলা ১৯৯৭ সালে শুরু করেন ‘সীমারেখা’ নামক এক ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকের পরিচালক ছিলেন বীরেশ চট্টোপাধ্যায় । যেখান থেকেই অভিনয় জগতে তার পথচলা শুরু।
অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছে ছিল না ত্রমিলার। কারণ তাঁর বাড়ির পরিবেশ ছিল পুরোপুরি গান-বাজনার। অভিনেত্রীর বাবা থিয়েটার করতেন। অনেক নামীদামি অভিনেতা তাঁর বাড়ি আসতেন মহড়া দিতে। তবে অভিনেত্রী হওয়ার কথা তিনি ভাবেননি কখনও। কিন্তু একপ্রকার পরিস্থিতির জন্যই তাঁকে এই পেশাতে আসতে হয়। কারণ সেই সময় ত্রমিলার বাবা মারা যান। তাঁর কাকা অর্জুন ভট্টাচার্যে যিনি ছিলেন চিত্র নাট্যকার তাঁর হাত ধরেই টলিউডে পা রাখলেন তিনি। যদিও ত্রমিলার মার অমত থাকলেও পরে রাজি হন। এভাবেই শুরু হয় তাঁর জার্নি।
উল্লেখ্য, এরপরই তাঁর কাছে আসতে থাকে নানা রকম অভিনয়ের অফার যদিও সব কাজ তিনি করতে পারতেন না কারণ অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে গিয়েছেন। এরপর তাঁর খুব অল্প বয়সেই বিয়ে করেন তিনি তাঁর ক্লাসমেটের সাথেই। এছাড়াও নায়িকা তখনকার সময় অনেক কিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিতে যা তিনি সম্প্রতি জানিয়েছেন এক অনলাইন পোর্টালের ইন্টারভিউতে। তিনি বলেছেন তখনকার গোটা ইন্ডাস্ট্রিটাই অনেক বেশি পুরুষতান্ত্রিক ছিল। ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে এমন-এমন কথা শুনতে হত যে তিনি অনেক ছবির কাজ ছেড়েছেন। সঙ্গে ভাল ভাল প্রস্তাবও পরিত্যাগ করেছেন রাগেই। কারণ এমন সাংঘাতিক অফার তাকে দেওয়া হয়েছিল একসময় যে নায়িকার অভিনয় করার ইচ্ছেটাই চলে গিয়েছিল। তাই তিনি তখন সিরিয়ালকে বেছে নিয়েছিলেন কেরিয়ার হিসেবে। কারণ তখনকার সময় টেলিফিল্মের স্বর্ণযুগ চলছিল বলা চলে।আর সিরিয়াল ছিল মেয়েদের জন্য অনেক নিরাপদ একটি প্ল্যাটফর্ম।
যদিও নায়িকার এতদিন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেও ছোট পর্দায় আটকে থাকার আফসোস হয় নি কখনও। কারণ তিনি নিজের প্রচার কোনওদিনই খুব একটা করেননি। সাথে তিনি লাজুকও। কাজটাই করে গিয়েছেন, করেছেনও। এখন ত্রমিলার মেয়ের বয়স ১০। কাজ শেষ করেই বাড়ি ছোটেন। কারণ তাঁর স্বামী জাহাজে কর্মরত। তাই তার উপরেই সংসার কাজ দুটোই নির্ভর করে।