নিকৃষ্ট মানের গল্প হলেও, বাংলার মেগা সিরিয়ালগুলির জনপ্রিয়তার কারন কি? জেনে নিন

জয়িতা চৌধুরি, কলকাতাঃ বাংলা সিরিয়ালের ( Bengali serial ) জনপ্রিয়তা অনেকটা স্যান্ডি সাহার ( Sandy Saha ) ভিডিওর মতন। কেউই বলেনা যে খুব ভালো কিছু হচ্ছে বা খুব উপভোগ্য কিন্তু অনেকেই দেখে। এখন প্রশ্ন হল, নিকৃষ্ট মানের গল্প হলেও, এই বাংলার মেগা সিরিয়ালগুলির জনপ্রিয়তার কারন কি? সম্প্রীতি একটি সমীক্ষায়ে উঠে এসেছে আসল কারন। দেখে নেওয়া যাক নেট নাগরিকরা কি বলছে।’
বিজয়া পুরকায়স্থ, যিনি পেশায়ে একজন লেখিকা, তার ভাষ্যমতে, “কি সব মাথামুন্ডুহীন গল্প ! একটা পরিবারেই পৃথিবীর সব ধরণের চরিত্রের বাস। এবং সবাই হয় ভীষণ ভালো ..নয়তো ভীষণ খারাপ। নরমাল মানুষ তো দেখাই যায় না। হয় দেবতা ..নয় অসুর। সিরিয়ালগুলো দেখলে মনে হয় সব ছেলেগুলো যেন হাবাগোবা ন্যালাক্ষ্যাপা, গোবর ভরা । কিছুই বোঝে না ওরা। যা বোঝার বোঝে মা – কাকীমারা, বোনেরা, বৌদিরা আর নিজের বৌ। ওদের ভরসায়ই পরিবারে ছেলেগুলো বেঁচে আছে।“
আরও এক নেট নাগরিকের মতে, “শুনেছি গল্পগুলোর সব রাইটার বুঝি মহিলা। সবকটা কুচুটে হবে। মনে হয় না ওরা ওদের সংসার নিয়ে শান্তিতে আছে। জঘন্য । ওদের জীবনের যাবতীয় হতাশা এসব গল্পে ঢেলে দেয় মনে হয়। আর মানুষও হয়েছে তেমন ..হাঁ করে গিলছে।“ বাংলা সিরিয়ালগুলি প্রধানত হয় শাশুড়ী – বৌমা কলহ, সাংসারিক বিভিন্ন রাজনীতি এবং বৈবাহিক সমস্যা নিয়ে। বেশির ভাগ গল্পই একটি আরেকটির অনুরূপ, কোনোদিন একটি গল্পের চরিত্রদের অন্য গল্পে বসিয়ে দিলে কেউ বুঝবেও না।
আরও পড়ুনঃ টেলি তারকাদের ভাইরাল ছোটবেলার ছবি। দেখে নিন আপনার প্রিয় অভিনেতাকে
সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত সোমেন শীল জানাচ্ছেন, “একটি প্রাসাদ প্রমাণ বাড়ি কোনো এক ধনী পরিবারের, সেখানে তিনি থাকেন তার তিনটি পুত্র কে নিয়ে, তার দুই বিধবা বোন তারাও তাদের ছেলে মেয়ে নিয়ে চলে এসেছে কোনোকালে, মেজো ছেলে কোনো ভাবে একটি গরীব গ্রামের মেয়েকে বিয়ে করবে। তাকে শাশুড়ি ও তার বড় জা সহ্য করতে পারবেনা, তার স্বামী তার সহুরে বড়লোক প্রেমিকার সাথে প্রেম করবে বিয়ে হওয়ার পরেও, ইত্যাদি। এই ক্লিশে গল্পগুলোই তহ দেখায়ে সিরিয়ালে“
তবে নেটিজেনদের ( Netizens ) কারো কারো মত অনুসারে এই সিরিয়ালগুলি নাকি বানানোই হয়েছে অচাকুরিরত মহিলাদের জন্য। মেগা সিরিয়ালগুলির টার্গেট দর্শক এনারা হওয়ার কারণ একমাত্র তাদেরই থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিভির সামনে বসে দেখার অবসর। আর তারাও সিরিয়াল দেখে বাড়ির হাজারটা কাজ সামলাতে সামলাতে। রান্নার ফাঁকে একটু-আধটু চোখ রাখেন তারা টিভির পর্দায়ে। ফলে বেশি জটিল গল্প বা অত্যাধিক যাতে মনসংযোগ করতে হবে এরম গল্প দেখানো সম্ভব না। আর এক শ্রেণীর দর্শক হলেন বয়স্ক অবসরপ্রাপ্ত মানুষেরা। তাদেরও যে বিশেষ ভাবনা চিন্তা প্রবনতা থাকে , বিশেষত টিভির সিরিয়াল নিয়ে তো আরোই নয়।