নেশা বিতর্ক, পেশা ছিল IT চাকরি! রোদ্দুর রায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা লজ্জায় ফেলবে নেতা মন্ত্রীদেরও

নেটমাধ্যম জুড়ে পড়েছে রোদ্দুরের প্রভাব। যে ব্যাক্তিকে এতদিন ‘পাগল’ বলে সম্বোধন করত দর্শকগণ। আজ তাঁর গ্রেফাতারিতে মন গলেছে নেটিজেনদের। অনেকেই সরব হয়েছেন তাঁর পক্ষে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি ভিডিয়োয় কুরুচিকর মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় থানায়। আর সেই সূত্রেই এদিন গোয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় ইউটিউবার রোদ্দুর রায়কে। 

বিতর্কে মোড়া তাঁর জীবন। আর নিজেকে বিতর্কে মধ্যে তিনি যে বেশ ভালোবাসেন, এমনটা নিজেই শিকার করেন তিনি। কিন্তু বিতর্কের জেরে গ্রেফতারি এই প্রথমবার। কিন্তু কে এই রোদ্দুর রায়? কীভাবেই বা তাঁর উত্থান? আদেও মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন তিনি? পরিবার সূত্রে পাওয়া নাম অনির্বাণ রায়। নিজেকে ‘মোক্সা’ ঘরানার বলে দাবি করেন তিনি। যার অর্থ মুক্তি, প্রেম ও শান্তির প্রতিষ্ঠাকারী। এই বিষয়ে বাংলায় ‘মোক্সা রেনেসাঁ’ নামেও  একটি উপন্যাস লিখেছেন তিনি। কবিতাও লেখেন মাঝে মধ্যে। তাঁর গানের মতো সে সব কবিতার নাম শুনলেও চোখ কপালে উঠবে।

জানিয়ে রাখা ভালো, পড়াশোনা নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে ছিলেন রোদ্দুর রায়। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থেকে প্রথমে স্নাতক পাশ করেন। তারপর দিল্লিতে আইটি সেক্টরে চাকরি করেন। পরে সেই চাকরি ছেড়ে দেন। জানা যায়, এরপর চেতনা  বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করেন তিনি। তাঁর কথা বলা বা গান করার ধরন সেই গবেষণার অংশ বলেই মত অনেকের। মনোবিজ্ঞানের উপরে রোদ্দুর রায়ের লেখা একটি বই রয়েছে। নাম ‘অ্যান্ড স্টেলা টার্নস আ মম’। লিটল ম‍্যাগাজিন আন্দোলনের বেশ পরিচিত মুখ রোদ্দুর রায়। নিজেকে তিনি ‘বিশ‍্যোকোবি’ বলে দাবি করেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে মাঝে মধ্যেই তিনি বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। তাঁর গান-কবিতা বিকৃত করে। এক সাক্ষাৎকারে রোদ্দুর রায় জানান, “হোয়াইট ইজ রবীন্দ্রনাথ? আমরা যে রবীন্দ্রনাথ-রবীন্দ্রনাথ করছি। তাঁর দর্শন ব্রম্ভসঙ্গীত। আমি-তুমি প্রকৃতি থেকে অর্জন করেই গান-কবিতা লিখতেন তিনি। তাঁর ভাবনা, প্রেম, ভালবাসাকে আমরা ছুঁতে পারেনি, শ্রেফ তাঁকে নিজেদের পণ্য হিসাবে ব্যবহার করেছি।”




Leave a Reply

Back to top button