তালিবানি থাবায় গত ১ মাসে ঝাঁপ বন্ধ কতগুলি সংবাদমাধ্যমের? জানলে চোখ কপালে তুলবেন আপনিও
মুখে নারী স্বাধীনতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধিকারের (Media in Afghanistan) কথা বলেলও তালিবান যে রয়েছে তালিবানেই তা তাদের বর্তমান কার্যকলাপেই স্পষ্ট। গত মাসের ১৫ তারিখ ক্ষমতা দখলের পর থেকে গোটা দেশে মহিলাদের জন্য জারি হয়েছে একের পর এক ফতোয়া (Taliban Fatwa)। রেহাই পায়নি সংবাদমাধ্যমও। পর এক মাসেরও কম সময়ে আফগানিস্তানের ২০টি প্রদেশে ১৫৩টি গণমাধ্যম বন্ধ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেদেশে বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ তাদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে একথা জানিয়েছে।
এদিকে কয়েকদিন আগেই নয়া ফতোয়া জারি করে সংবাদমাধ্যমে মহিলাদের কাজ করা বন্ধ করেছে তালিবানেরা। পরবর্তীতে নয়া সরকার গঠনের পর আরও কঠোর হয়েছে তাদের পদক্ষেপ।তালিবান বিরোধী কোনও খবর করলেই শাঁসানো হচ্ছে রিপোর্টারদের (journalist)। খুনও করে দেওয়া হয়েছে অনেককে। সবথেকে বেশি রোষের মুখে পড়েছে আগের তালিবান সরকার পন্থী মিডিয়া হাউসগুলি। বেছে বেছে খুন করা হয়েছে একাধিক সংবাদ সংস্থার এডিটরকে।
প্রিন্টের পাশাপাশি বন্ধ হয়েছে রেডিও, ও টিভি চ্যানেলও। এমনকী বন্ধ হয়েছে একাধিক বড় বড় নিউজ পোর্টালও। সদ্য বন্ধ হয়েছে আফগানিস্তানের বিখ্যাত রেডিও সংস্থা মিলমা রেডিওর দরজা। কাজ হারিয়ে পথে বসেছেন সংস্থার শতাধিক কর্মী। যদিও বন্ধের পিছনে অর্থনৈতিক সমস্যাকে কাঠগড়ায় তোলা হলেও প্রধান কারণ যে তালিবানি হুমকী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মিলাম রেডিওর প্রধান সম্পাদক ইয়াকুব খান মঞ্জুর এই প্রসঙ্গে বলেন, “কাজের অনুপযুক্ত পরিবেশ এবং অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে আমাদের ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। নতুন করে কাজ শুরু করা যায় কিনা সেই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে।”
অন্যদিকে এই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে আফগানিস্তান ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস ও আফগানিস্তান ন্যাশনাল জার্নালিস্টস ইউনিয়নকে (Afghanistan National Journalists Union)। ন্যাশনাল জার্নালিস্টস ইউনিয়নের প্রতিনিধি মাসরুর লুৎফি এই কঠিন সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সাহায্যেরও প্রার্থনা করেছে। আতঙ্কে রয়েছেন আফগানিস্তান ফেডারেশন অব জার্নালিস্টসের ডেপুটি প্রধান হুজাতউল্লাহ মুজাদাদিও।