ছবি তোলার নেশায় বুঁদ! শেষ পরিণতি কতটা ভয়ঙ্কর এই চার ফটোগ্রাফারের, দেখুন

ওয়েব ডেস্ক : ‘ইউজ এ পিকচার, ইট ইজ ওর্থ এ থাউজেন্ড ওয়ার্ডস’ : আর্থার ব্রিসবেন

জ্ঞাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল ছবি। এটি এমন একটি মাধ্যম যা শব্দের থেকেও তাড়াতাড়ি এবং তৎক্ষণাৎ মনের ভাব প্রকাশ করতে সক্ষম। আর ছবি তোলা একটি শিল্প। প্রত্যেকটি ছবি কে সফল করার পিছনে থাকে একজন ফোটোগ্রাফারের অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং জেদ। ছবি তোলা একটি নেশার মতো। তাই এই ছবি তোলার টানে মাঝেমধ্যেই ফটোগ্রাফারদের নানা বিপদের মুখে পড়তে হয়। অনেকসময় হারাতে হয়ে প্রাণও। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেরম কিছু ফোটোগ্রাফারের গল্প, ছবি তুলতে গিয়ে যাঁদের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছিল।

২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের ঘটনা। তখন বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েনি মারণ করোনা ভাইরাস। বাংলার ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার আশীষ শিট পৌঁছেছিলেন ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে, হাতির সন্ধানে। হাতির পাল দেখতে পেয়ে বেশ কয়েকটা ছবিও তোলেন আশীষ। তবে দূর থেকে মনের মতো ছবি না তুলতে পারায় হাতিদের আর আরও কাছে যায় সে। তার এই দুঃসাহস পছন্দ হল না হাতির পালের। শেষ পর্যন্ত দুর্ঘটনা চক্রে পদপৃষ্ঠ হয়ে প্রাণ হারালেন আশীষ।

Accidents in workplace,Photojournalism in India,Photojournalist accidents,কর্মক্ষত্রে অপঘাত,ভারতে চিত্রসাংবাদিকতা,চিত্রসাংবাদিক।

একইরকম ঘটনা ঘটেছিলো আজ থেকে চার বছর আগে, কেনিয়ার সাভো ন্যাশনাল পার্কে আরেক ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফারের সাথে। পার্কে ঘুরতে ঘুরতে সে দেখতে পায়ে একদল আফ্রিকান এলিফ্যান্ট বা দাঁতাল হাতির পাল , যারা এসেছিলো জল খেতে। সেদিকে ক্যামেরা নিয়ে যেতেই, ঘুরে দাড়ায়ে হাতির দল। এরপর বিকেলে বনবিভাগের কর্মীরা যখন পার্ক পরিভ্রমণে আসে, খুঁজে পায়ে তার মৃতদেহ।

পরের ঘটনাটি ঘটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফর্নিয়া প্রদেশের লোডি শহরে। ৬৩ বয়সী প্রবীণ ফটোগ্রাফার সাধারণ মানুষের ছবি ক্যামেরাবন্দি করবেন বলে এসেছিলেন জিয়ন পার্কে। গ্যারাজের ৪০ ফুট উপর থেকে ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন ফটোগ্রাফার, কিন্তু হটাৎই অসাবধানতার কারণে পা পিছলে পরে যান ছাদ থেকে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে প্রাণ হারান এই প্রবীণ ফটোগ্রাফার।

Accidents in workplace,Photojournalism in India,Photojournalist accidents,কর্মক্ষত্রে অপঘাত,ভারতে চিত্রসাংবাদিকতা,চিত্রসাংবাদিক।

ভিক্টোরিয়া স্ক্যাফার ছিলেন একজন সিটিজেন ফটোগ্রাফার। তবে ওনার মৃত্যুটা ঠিক দুর্ঘটনা না, খুন। অন্তত এমনটাই আশঙ্কা পুলিশের। ২০১৯ এর এপ্রিল মাসে আসন্ন মে দিবসের উপলক্ষে সেজে উঠছিলো গোটা ওহিও শহর। ভিক্টোরিয়া সেই সব প্রস্তুতির ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। এরপর ওহিও শহরের ওল্ড ম্যান্স কেভের সামনে কয়েক স্কুল পড়ুয়াদের কে সঙ্গে নিয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন ভিক্টোরিয়া। ঠিক এই সময় তার মাথায় ভেঙে পরে এক মোটা গাছের ডাল। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়ে ভিক্টোরিয়া। প্রাথমিক তদন্তে কিছু না বোঝা গেলেও, দীর্ঘ ৬ মাস পর পুলিশ গ্রেফতার করে দুই পড়ুয়া কে। পুলিশের অনুমান, কিছু অসামাজিক কাজ করতে তাদের হাতে-নাতে ধরে ফেলেছিলেন ভিক্টোরিয়া। তাই তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য দুই পড়ুয়া এই কুকর্ম করে।

ক্যালিফর্নিয়া শহরের আরেকটা দুর্ঘটনা। ২০১৬ সালে, ফ্যাশন ফটোগ্রাফার ক্রিস্টোফার গুইন, ডাউনটাউন রেলরোডের উপর দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিলেন তিনি। ছবি তুলতে তুলতে তিনি খেয়াল করতে পারেননি যে কখন পাশের লাইন দিয়ে ধেয়ে আসছে ট্রেন। ছবি তুলতে তুলতে এসে পড়লেন সেই পাশের লাইনেই। তারপর কী হতে পারে তা নিশ্চয় কারোরই অজানা নয়।




Back to top button