নাতনির বয়সী মেয়েকে বিয়ে করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ৬৬ বছরের মেয়র
কিশোরীর সাথে গাটছড়া বাঁধলেন, সিনিয়র সিটিজেন মেয়র!

ব্রাজিল:ভালোবাসায় কখনো বয়স বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় না, এ যে সত্যি তা আরও একবার প্রমাণ করলো এই জুটি। ব্রাজিলের অ্যারোকেরিয়া সিটির মেয়র ৬৬ বছর বয়সী হিসাম হুসেন দেহাইনি চলতি বছরেই ১৬ বছরের সুন্দরী কন্যের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। মূলত, বিয়ে হল একটা পবিত্র বন্ধন। যেখানে দু’জন সঙ্গী সুখে-আনন্দে সফল ভাবে জীবন কাটাতে চান। কিন্তু কিছু কিছু বিয়ের ঘটনা আবার সাধারণ মানুষের বোধগম্য হয় না। এমনই এক বিয়ের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। ব্রাজিলের বাসিন্দা ৬৬ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। পাত্রীর বয়স মাত্র ১৬ বছর। নাতনির বয়সী মেয়েকে বিয়ে করায় নানা মন্তব্য শুনতে হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু নিন্দুকদের কথায় কান দিতে তাঁরা নারাজ। ব্রাজিলের অ্যারোকেরিয়া সিটির মেয়র ৬৬ বছর বয়সী হিসাম হুসেন দেহাইনি চলতি বছরেই ১৬ বছরের সুন্দরী কন্যের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় বছর পঞ্চাশের ব্যবধান। ফলে অনেকেই ভাবছেন, এই সম্পর্ক জোর করে চাপিয়ে দেওয়া। কিন্তু স্ত্রী-র সঙ্গে ওই বৃদ্ধের ছবি দেখে সেই ভুল ভেঙেছে। অবশ্য কনেও ওই শহরের বেশ পরিচিত মুখ। কারণ তিনি অ্যারোকেরিয়া সিটির বিউটি ক্যুইন শিরোপা পেয়েছিলেন।
সম্প্রতি এই দম্পতি নিজেদের ডেট নাইটের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। সেখানে অন্য জুটির মতোই তাঁদের পিডিএ চোখে পড়েছে। একটা দুর্দান্ত গ্ল্যামারাস আউটফিটে স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে পোজ দিতে দেখা গিয়েছে বছর ষোলোর ওই কিশোরীকে। এখানেই শেষ নয়, এর আগেও অবশ্য নিজেদের পিডিএ প্রদর্শন করা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন খোদ মেয়র। আর এই অসমবয়সী জুটির ঘনিষ্ঠ ছবি দেখে যেন ক্ষেপে লাল যুবসমাজ। তবে সেই সব কিছুকে রীতিমতো বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকাশ্যে প্রেম-খুনসুটি-আদরে মত্ত অসমবয়সী এই জুটি। যদিও এমন অসমবয়সী প্রেম কিংবা বিয়ের কথা হামেশাই শোনা যায়। আজকালকার দিনে সঙ্গীদের মধ্যে ১০-১৫ বছর এমনকী ২০ বছরের ব্যবধানও দেখা যায়। তবে কেউ যদি হাঁটুর বয়সী কাউকে বিয়ে করেন, তাহলে সেটা বেশ আশ্চর্যজনক। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই জুটিকে নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে।
নিন্দুকদের পাত্তা দিচ্ছেন না তাঁরা। চুটিয়ে প্রেমে মজেছে এই জুটি। তবে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমের দাবি, ওই কিশোরী কন্যার মা মেরিলিন রোড মেয়রের সঙ্গে নিজের মেয়ের বিয়ে দিয়ে সরাসরি ভাবে উপকৃত হয়েছেন। আসলে শিক্ষা মন্ত্রকে তিনি একটি সাধারণ চাকরি করতেন। কিন্তু শহরের মেয়রকে জামাই বানানোর পরে তিনি উচ্চ পদে উঠে গিয়েছেন। সেই সঙ্গে পাচ্ছেন মোটা বেতনও। ফলে নিন্দুকদের দাবি, এখন মেয়রের শাশুড়ি হওয়ার একটা না একটা সুবিধা তো থাকবেই! সব মিলিয়ে এই ঘটনা এখন ভাইরাল বিশ্বের দরবারে! নেট পাড়ায় চর্চায় মুখোর নেটিজেনরা।