বিশ্ব দরবারে বাংলার জয়জয়কার! সিডনি চলচিত্র উৎসবে মানিক জন্মশতবর্ষে চলবে এই ১০টি সিনেমা

কিছুদিন আগেই অনীক দত্তের ‘অপরাজিত’ বাঙালি মননে আবার একটা নতুন দাগ কেটে দিয়ে গেছে। যে দাগের কোনও ব্যথা নেই, আছে শুধুই কিছু সুন্দর অনুভূতি। অনেক বছর পর সব শ্রেণীর বাঙালিই যেন আবার ভাবতে শুরু করেছে সত্যজিৎকে। বাঙালি মন থেকে তাঁর প্রভাব কখনওই মিটবে না এ যেমন সন্দেহাতীত। তেমনই সময়ের কালে মানুষের দৈনন্দিন জীবন থেকে মানিকের হারিয়ে যাওয়াকে যেন আবার বেশ কয়েক দশকের জন্য থামিয়ে দিয়ে গেল এই সিনেমা। 

দিন কয়েক আগেই মিটল ৭৫ তম কান চলচিত্র উৎসব। এবার পালা সিডনি চলচিত্র উৎসবের। ৮ই জুন থেকেই  শুরু হয়েছে ৬৯ তম সিডনি চলচিত্র উৎসব, আর সেখানেই দেখানো হবে বাঙালির মানিকের বিশেষ কিছু চলচিত্র। রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগে ১০টি ছবি দেখানো হবে। ইতিমধ্যে সিডনি চলচিত্র উৎসবের প্রাক্তন পরিচালক ডেভিড স্ট্রাটন কিউরেট করা বিশেষ বিভাগের জন্য ১০টি ক্লাসিক ছবি নির্বাচন করা হয়েছে। ১৯৬৫ এবং ১৯৮০ সালেও পরিচালকের ছবি দেখানো হয়েছিল উৎসবে। তবে এবার সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ফের একবার আয়োজন করা হয়েছে তাঁর চলচিত্র  সম্প্রচার। গতবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছু আয়োজন করা যায়নি সিডনি চলচিত্র উৎসবে। তবে এবার পরিচালকের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে পরিচালকের সিনেমা দেখানো ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

satyajit ray

চলচিত্র উৎসবের বর্তমান পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে জানিয়েছেন, “তিনি বিশ্বের অন্যতম চলচিত্র নির্মাতা। প্রথম এবং সর্বাগ্রে সাহসী এবং দূরদর্শী চলচিত্র পরিচালক এবং লেখক। ১৯৫৫ সালে তাঁর তৈরি প্রথম ছবি থেকে দৃঢ় ভাবে ধারণা লাভ করা যায়, প্রকৃতি ও আনুষ্ঠানিকতার একটি মিশ্রণ রেখেছিলেন তিনি। তাঁর সেই ছবিটি পুরোটাই সেটে তৈরি তা খালি চোখে দেখে কেউ ধরতে পারবেন না।” পাশাপাশি, উৎসব আয়োজকদের দ্বারা প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, সত্যজিৎ রায়ের সিনেমাগুলি সেকালের মতো একালেও নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। উল্লেখ্য, এমনটা প্রথম নয়! এর আগেও সত্যজিৎ রায়ের দুটি সিনেমা সিডনি চলচিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছিল। প্রথমটি ১৯৬৫ সালা  ‘মহানগর’ এবং দ্বিতীয়টি ১৯৮০ সালে ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’। 

এই বছর যে ১০টি ছবি সিডনি চলচিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছে সেগুলি হল, পথের পাঁচালী(১৯৫৫),  অপরাজিত(১৯৫৬), জলসাঘর(১৯৫৮), অপুর সংসার(১৯৫৯), দেবী(১৯৬০), মহানগর(১৯৬৩), চারুলতা(১৯৬৪), নায়ক(১৯৬৬), সীমাবদ্ধ(১৯৭১), শতরঞ্জঁ কি খিলাড়ি(১৯৭৭)।




Leave a Reply

Back to top button