Viral:চোখ যেন কালো কুঠুরি, নেই কান-নাক! পৃথিবীর বুকে এ কোন ভিনগ্রহীর বাস?

ছোটবেলায় অনেকে অনেক কিছু হতে চায়। কেউ পাখি, কেউ গাছ, কেউ প্রজাপতি। কিন্তু মানুষ ছেড়ে এলিয়েন হতে চায়! এমন দেখেছেন কোথাও? ফরাসি যুবক অ্যান্থনি লেফ্রাডোই চেয়েছিলেন ভিনদেশী হতে। সারা গায়ে করিয়েছেন ট্যাটু। কালো রঙের ভিনদেশী সাজতে বাদ দিয়েছেন নাক-কান। হাতের দুই আঙুল কেটে বাদ দিয়েছেন শুধুমাত্র এলিয়েন সাজবেন বলে। আর এখানেই হয়েছে বিপত্তি।

রূপ বদলে তাকে আর মানুষের মতো দেখতে নেই। এমন আজগুবি শখের মূল্য চোকাতে এখন খাওয়ার জোগানোর কেউ নেই। এখন একটু মানুষ হতে চান যুবক। মানুষ না হলে চাকরি পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।


এমন কিম্ভূত কিম্বাকার মূর্তি দেখে সকলে ভয় পায় অথবা ঘৃণা করে তাঁকে। এলিয়েন হওয়ার সাধ মিটেছে। এখন আবার মানুষ ফিরতে চান স্বাভাবিক জীবনে। কিন্তু ভিনদেশী চেহারার যুবককে দেখে সকলেই ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলেই মনে করেন। মানুষ দেখলেই তাকে এড়িয়ে চলে। এখন তাঁর অনুরোধ সেও তো একটা মানুষ। তার সাথে যেন সকলে স্বাভাবিক ব্যবহার করে। নাহলে তাঁর বাঁচার রাস্তা খুবই কঠিন হয়ে উঠছে। এখন বেঁচে থাকার জন্য একটা চাকরির খুব প্রয়োজন।

ইনস্টাগ্রামে ১২ লক্ষ অনুরাগী রয়েছে যুবকের। অথচ বাস্তবে অর্থ কষ্টে মানসিক অবসাদে ভুগছেন যুবক। বন্ধু বান্ধব পর্যন্ত নেই। কিছুদিন আগেই এক ব্যক্তি কুকুর হতে চেয়েছিলেন। সেজন্য কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন সেই ব্যক্তি। তবে কী মানব জীবনের ওপর বিতৃষ্ণার উদ্রেক হচ্ছে?মানুষের উদ্ভট শখ দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন অঙ্গে ট্যাটু করার হুজুগও বাড়ছে। ডিজিট্যাল যুগে গেমের নেশায় আর বিচিত্র ভিডিওর মাধ্যমে একদল যুব সমাজকে প্রভাবিত করেছে।গেমের নেশায় বুঁদ হয়ে মৃত্যুবরণ করা যুবকের সংখ্যা কম নয়, এমন কী ট্যাটু করতে গিয়ে সংক্রামক রোগের কবলেও পড়তে দেখা যায়। এখনও সময় আছে, কোনো নেশার ফাঁদে পা দেওয়া উচিত নয়।




Back to top button