Asteroid 2018 AH- ধ্বংস হতে পারে পৃথিবী, ধেয়ে আসছে বিশালাকার গ্রহানু

অহেলিকা দও, কলকাতা:
করোনা ভাইরাসের(corona virus) রেস কাটতে না কাটতেই আবার বিপদের সম্মুখীন হতে চলেছে পৃথিবীর(earth) মানুষ। এই বছরের শেষের দিকে দূর মহাকাশ(space) থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে চলেছে বিপর্যয়। ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারী একটি গ্রহাণু(Asteroids)পৃথিবীর খুব কাছ থেকে চলে গিয়েছিল। নাসার(Nasa) গ্রহাণু ট্র্যাকার গননা করেছেন যে গ্রহাণু ২০১৮ এএইচ(2018 AH) পারমাণবিক বোমার(atomic bomb) চেয়ে বেশি শক্তিশালী(powerful)। আসুন জেনে নি বিজ্ঞানীরা এই গ্রহাণু নিয়ে আরও কি কি তথ্য দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃPM NARENDRA MODI: জানুয়ারিতে বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী, উদ্দেশ্য ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে চলেছে ২০১৮ এএইচ(2018 AH) গ্রহাণু যার ব্যাস ১৯০ মিটার অর্থাৎ ৬২৩ ফুট লম্বা। অর্থাৎ যার দৈর্ঘ্য কুতুব মিনারের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি লম্বা উঁচু এই গ্রহাণু। নাসা সূত্রে খবর, এই গ্রহাণুটি ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ সালে পৃথিবীর পাশ থেকে যাবে ৪.৫ মিলিয়ন কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে। অর্থাৎ এটি পৃথিবীতে বিপর্যয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। ২০১৮ সালে এটি পৃথিবী থেকে ২.৯৬ লাখ কিলোমিটারের দূরত্বে পাশ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যদি এটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে তবে এটি হিরোশিমা-নাগাসাকিতে(Hiroshima-Nagasaki) যে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল তার চেয়েও বেশি ভয়াবহ পরিস্তিতি হবে।
২০১৮ সালে বিজ্ঞানীরা ২০১৮ এএইচ(2018 AH) গ্রহাণু আবিষ্কার করেছিলেন তখন এটি পৃথিবীর খুব কাছ থেকে চলে গিয়েছিল। আলো কম হওয়ার কারণে এর আগমন বোঝা যায়নি। এটি ছিল গাঢ় রঙের। এর গতিবিধিও সঠিক জানা যায়নি। ২০১৮ সালে এই ধরনের গ্রহাণু আর দেখা যায়নি। ২০১৩ সালে পৃথিবীতে আছড়ে পড়া শেষ গ্রহাণুটি রাশিয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্বক সৃষ্টি করেছিল। এই গ্রহাণুটি ছিল ১৭ মিটার লম্বা। এটি রাশিয়ার উপর দিয়ে এসে বায়ুমণ্ডলে বিস্ফোরিত হয়েছিল। ফলে আহত হয়েছিলেন বহু মানুষ। এর আগে ১৯০৮ সালে রাশিয়ায় যে গ্রহাণুটি বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল ভাগ্যবসত সেটি তুংসুকা নদীতে পড়েছিল। এটিকে তুংসুকা ইভেন্ট বলা হয়।
শোনা যায়, রাশিয়ার এই গ্রহাণুটি ২৭ ডিসেম্বরে পৃথিবীর দিকে আসা গ্রহাণু ২০১৮ এএইচ এর আকার সমন হবে। যদি এই গ্রহাণুটি কোনো সাগরে পড়ে তাহলে ভয়াবহ সুনামি ও ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে। যার কারণে আশেপাশের অঞ্ছলগুলিতে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আবার যদি গ্রহাণু ২০১৮ এএইচ একটি এলাকায় বাতাসে বিস্ফোরিত হয় তাহলে এটি ১২ মেগাটন শক্তির বিস্ফোরণ ঘটাবে। এর ফলে হাজার হাজার কিলোমিটার এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিনত হবে। নাসার জানায়, এই গ্রহাণু হিরোশিমা -নাগাসাকিতে ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে ৮০০ গুণ বেশি শক্তিশালী। হিরোশিমায় যে বোমা পড়েছিল তার শক্তি ছিল ১৫ কিলোটন। অন্যদিকে, নাগাসাকিতে যে অ্যাটম বোমা পড়েছিল তার শক্তি ছিল ২০ কিলোটন। দেখা যাক ২৭ ডিসেম্বর গ্রহাণু ২০১৮ এএইচ ঠিক কোন আকার ধারণ করে।