বাংলাদেশের ডেঙ্গি পরিস্থিতি ঘোরালো, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ১৪ জনের
এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ৮২,৫০৬ জন। চলতি বছরে মৃত্যু ৩৮৭ জনের। ডেঙ্গি পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বাংলাদেশের।

শুভঙ্কর,কলকাতা: এই রাজ্যের ডেঙ্গির অবস্থা খারাপ। প্রতিদিন অসংখ্য রোগী ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। একইভাবে পড়শি দেশ বাংলাদেশেও বাড়ছে মশা বাহিত এই রোগের প্রকোপ। গত ২৪ ঘন্টায় শনিবার সকালের মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জন বাংলাদেশ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি বছরে বাংলাদেশে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮৭ জনে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে সে দেশের সাধারণ নাগরিকদের মনে এক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশের জেনারেল হেলথ অফ সার্ভিসেসের সূত্রে জানা যাচ্ছে, এখনো পর্যন্ত ৮২,৫০৬ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭২,২৮৯ জন এই রোগের প্রভাব কাটিয়ে সেরে উঠেছেন। ২৪৩২ জনকে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নতুন করে এই রোগের প্রকোপে পড়া ৭৪০ জন ভর্তি হয়েছেন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। বাকিরা অন্যান্য জায়গার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাংলাদেশে এই বছরের ডেঙ্গির পরিস্থিতি গত বছরের তুলনায় অনেকটাই খারাপ। চাপ পড়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবার উপরে। যে দ্রুতগতিতে বাংলাদেশের ডেঙ্গি অবস্থা খারাপ হচ্ছে তাতে বর্তমান স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কতটা সামাল দিতে পারবে সেই নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে বাংলাদেশীদের মনে।
বাংলাদেশের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন। তাদের তরফ থেকে ১১ আগস্ট ইউনাইটেড নেশনকে এই বিষয়ে রিপোর্ট করা হয়েছে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই রোগ নিয়ে বাংলাদেশে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন এই আন্তর্জাতিক সংস্থা। গত জুন মাস থেকে এই বাংলাদেশের ডিঙ্গি পরিস্থিতি ধীরে ধীরে খারাপ হতে শুরু করে। এই দেশের ৬৪টি জেলা থেকে খবর আসতে থাকে দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে এই রোগ। জুলাই মাসের শেষের দিকে এই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এই মাসে এসে এই খারাপ পরিস্থিতির কোন বদল ঘটেনি। উল্টে তা বেড়ে চলেছে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রবল বৃষ্টি ও তার ফলে জমে থাকা জলে দ্রুত হারে বংশবিস্তার করছে ডেঙ্গি মশা। তার ফলে ছড়িয়ে যাচ্ছে এই রোগ। অবিলম্বে কীটনাশকের মতো জিনিস ব্যবহার করে মশার বংশ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত বলে মনে করছে এই সংস্থা।