Taliban in Afganistan: আতুঁড় ঘরেই বিয়ের প্রস্তাব, আফগানিস্তানে বিক্রি ২০ দিনের শিশুকন্যা
গত শনিবার এনডিটিভি অনলাইনের(NDTV Online) একটি প্রতিবেদন(Report) থেকে জানা যায়, আন্তর্জাতিক শিশু সুরক্ষা মঞ্চ ‘ইউনিসেফ’-র(UNICEF) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর(EXECUTIVE DIRECTOR) হেনরিয়েটা ফোর(Henrieta Fore) জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে মাত্র ২০ দিন বয়সী শিশুকন্যাদের বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিচ্ছে পরিবার। দারিদ্রতার তাড়নায় মোটা অঙ্কের যৌতুকের বিনিময়ে ভবিষ্যতের জন্য শিশুকন্যাদের বিবাহের প্রস্তাব দিচ্ছেন সন্তানের মা-বাবারা। আফগানিস্তানে তালিবান রাজত্ব শুরু হওয়ার পর থেকেই চরম অর্থাভাব দেখা যাচ্ছে আফগানিস্তানের লক্ষাধিক সাধারণ মানুষের মধ্যে। এই সংকটকালে শিশুকন্যার জন্ম দেওয়া তাদের কাছে অভিশাপের মতন। দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগাড় করতে পারা যেখানে দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়, সেখানে তালিবান(Taliban) সমাজে মেয়েদের বড়ো করা, তাদের লেখাপড়া শেখানো, তাদের বিয়ের চিন্তা সবকিছুই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই শিশুকন্যার জন্মের পরেই এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠছেন আফগানিস্তানের শিশুকন্যাদের মা-বাবারা।
ইউনিসেফ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-২০১৯ সালের মধ্যে মোট ১৮৩ জন নাবালিকার নাম নথিভুক্তকরণ হয়েছে বিবাহের তালিকায়। এই তালিকায় ১৭ বছরের মেয়ের সংখ্যা সর্বাধিক হলেও বাদ পড়েনি ছ’মাস কিংবা কুড়িদিনের সদ্যোজাত।হেনরিয়েত্তা বলেছেন, ‘সম্প্রতি আমার হাতে একটি বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট এসেছে। যা দেখে আমি চমকে গিয়েছি। মাত্র ২০ দিনের একটি শিশুকন্যাকে তার বাবা-মা বিয়ের জন্য বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। আফগানিস্তানের এই প্রবণতা রীতিমতো উদ্বেগের। মানবতার উপর চরম আঘাত।’
বেশ কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(World Health Organization) থেকে জানানো হয়েছিল, আফগানিস্তানের শিশুসংকটের কথা। পর্যাপ্ত খাদ্য, বিশুদ্ধ পানীয়, সঠিক জীবনযাপনের অভাবে আফগানরা তাদের শিশুদের দিয়ে কাজ করানো, অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন।গত ১৫ ই অগাস্ট থেকে আফগানিস্তানের সমস্ত ক্ষমতা তালিবান সম্প্রদায়ের হাতে চলে যায় এবং তারপর থেকেই মেয়েরা অশিক্ষার চরম অন্ধকারে হারিয়ে যেতে থাকে। ফলে বাল্যবিবাহ বা শিশুশ্রমের মতন নেতিবাচক বিষয়গুলি নিয়ে লড়াই করার ক্ষমতা অর্জন করতে তারা অপারক। ফলে দেশটির নারী ও শিশু সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হু(WHO) ও ইউনিসেফ(UNICEF)।