‘বাংলাদেশের গর্ব নিয়ে ছেলেখেলা!’ পদ্মা সেতুতে গান বেঁধে নেটিজেনদের রোষের মুখে হিরো আলম

ওপার বাংলার বুকে নির্মিত পদ্মা সেতু নিয়ে গদগদ বাঙালি। বাংলাদেশ থেকে কলকাতার দুরত্ব কমেছে শুনে আরও খুশি হয়েছে বাঙালি। এই প্রসঙ্গে অনেকে মন্তব্য জুড়েছে দুই দেশ এক করার। তবে তা হয় তো অবাস্তবিক। তবে আপাতত এই সব কিছুকে এড়িয়ে পদ্মা সেতু নিয়ে গর্বিত বাংলাদেশ। এই সেতু নিয়ে ফেটে পড়ছে মানুষের আবেগ-ভালোবাসা। তবে এই আবেগ-ভালোবাসার মাঝে হটাৎই সাধারণের মতো আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েছেন ওপার বাংলার হিরো আলম। দেশের মতোই সেও পদ্মা সেতুকে নিয়ে বেঁধে ফেলেছে নিজের গানের সেতু।

সেতুকে কেন্দ্র করেই প্রকাশ করেছে নিজের আরেক নতুন গান। তবে তাঁর সেই গান শুনে আবেগে ভাসার পরিবর্তে বাঙালি দিয়েছে গালাগালি। উল্লেখ্য, হিরো আলমকে চেনেন না এমন মানুষের সংখ্যা আদতেই কম। তাঁর কার্যকলাপেই শুধু নিজের দেশে নয়,  এ দেশেও সমান ভাবে খ্যাতি লাভ করেছেন তিনি। সিনেমা প্রেমী বলে নিজেকে পরিচয় দিতেন আর সেই প্রেম থেকেই বানিয়ে ছিলেন একাধিক সিনেমা ও গান। কিন্তু দিন শেষে তা খ্যাতি দিলেও, সঙ্গে দিয়েছে ভরে ভরে গালাগালি। নিজের কার্যকলাপের জেরেই মানুষের কাছে পরিণত হয়েছেন হাসির পাত্রে। 

সম্প্রতি, পদ্মা সেতুর গান নামে একটি গান নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন তিনি। বাংলাদেশের আর পাঁচটা বাঙালির মতোই আবেগ তাড়িত হয়ে এই গান বানিয়ে বসেন তিনি। কিন্তু নিজের কন্ঠের জেরে গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সকলের হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছেন তিনি। প্রশংসার বদলে জুটেছে শুধুই গালাগালি। নেটপাড়ার দাবি, ‘সুর-তাল-লয় তো নেই, সঙ্গে উচ্চারণও ভুল। এমন খারাপ গান করে, কী করে একটা লোক এত ভিউ পায় কে জানে!’ আবার অন্য একজনের দাবি, ‘এরকম গান শুনলে তো কান ফেটে যাবে।’

প্রসঙ্গত, এমনটা প্রথম নয়। কিছুদিন আগে বিকৃতভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ায় রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল হিরো আলমকে। পাশাপাশি, প্রখ্যাত গায়ক কেকে’র মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতিতে একটি গান গেয়ে নেটিজেনদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। রবিবার নিজের পদ্মা গানের শ্যুটের সময় হিরো আলম বলেন, “যাদের আমাকে পছন্দ নয়, তাদের আমার গান শুনতে হবে না।” সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন পদ্মা ব্রীজ নিয়ে গান বানানোর কোনও ইচ্ছাই ছিল না। হটাৎ তিনি গানটি বানিয়ে ফেলেন।




Leave a Reply

Back to top button