গর্ভপাত আর অপরাধ নয় ! নারীদের জন্য ঐতিহাসিক রায় নিয়ে এল শীর্ষ আদালত
আর আইনত শাস্তিযোগ্য নয় গর্ভপাত, এমনই নাটকীয় রায় ঘোষণা করল মেক্সিকোর শীর্ষ আদালত। এর জেরেই গত ৭ সেপ্টেম্বর রায় বেরোনোর পর উৎসবের আমেজ দেখা গেছে উত্তর মেক্সিকোর কোয়াহুলিয়া প্রদেশে। যদিও মেক্সিকোর শুধু মাত্র ৪টে প্রদেশেই এই আইন লাগু করা হয়েছে, তবে আগামী দিনে তা গোটা মেক্সিকোতেই এই রায় ছড়িয়ে পড়তেও বেশি দেরি নেই।
সূত্রের খবর, শীর্ষ আদালতের এই রায় পাশ হওয়ার পরেই , কোয়াহুলিয়া প্রদেশে গর্ভপাতের শাস্তিস্বরূপ যারা এতদিন পর্যন্ত জেল খাটছিলো, তাদের বিনা নিস্বর্তঃ মুক্তি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি লুই মারিয়া আগুইলার এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে মেক্সিকোর নারীসমাজের জন্যে এইটা একটা ঐতিহাসিক দিন।
১১ জন বিচারপতির সর্বসম্মতিক্রমে এই রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংঘগুলি। তাদের মতে গর্ভপাতের মতো কঠিন এবং অন্তরঙ্গ সিদ্ধান্তগুলি রাষ্ট্র তথা কোনোও রকম ধর্মীয় সংঘের হস্তক্ষেপর বাইরে সম্পূর্ণরূপে বক্ত্যিগত রাখা উচিত। লাতিন আমেরিকায় সব চেয়ে বেশি সংখ্যক ক্যাথলিক খ্রীষ্টান রয়েছে মেক্সিকোতেই। আর এমন এক দেশে , ক্যাথলিক চার্চকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এই রায় সত্যি ঐতিহাসিক। তবে, জল্পনা করা হচ্ছে যে, এই রায়ের দরুন ক্যাথলিক চার্চ তথা রক্ষণশীল রাজনৈতিক দলগুলোর রোষের শিকার হতে পারে মক্সিকো সরাকর। যদিও গত কয়েক বছর ধরে, সরকার তথা রাষ্ট্রের উপর চার্চের প্রভাব কমতে দেখে গেছে বলে মানা হচ্ছে।
যেখানে মক্সিকোর মতো রক্ষণশীল দেশেও গর্ভপাত কে সরকারি মান্যতা দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মহিলাদের অবস্থা দিন-প্রতিদিন হয়ে উঠছে আরও সঙ্গীন। কোয়াহুলিয়া থেকে বর্ডার পেরোলেই মার্কিন রাজ্য টেক্সাস। সেই টেক্সাসে আইন করে বন্ড করে দেওয়া হচ্ছে গর্ভপাত। এরম এক পরিস্থিতে দাঁড়িয়ে কি তাহলে টেক্সাসবাসীদের, কাঁটাতার পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশে এসে গর্ভপাত করিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায়ে রাখছে মার্কিন প্রশাসন? এই এক কারণের জন্যে আবার বাড়তে পারে দুই দেশের মধ্যে উদ্বাস্তু সমস্যা?এমনই জল্পনাই এখন করছে বিশ্বমহল।