এবার এল নতুন পেনশন প্রকল্প, সুযোগ পাবেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা ঘোষণা করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী
দেশের প্রতিটি নাগরিকের সম্মানের সঙ্গে বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করে দেওয়াই লক্ষ্য তাঁদের সরকারের। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে পড়শি দেশ।

শুভঙ্কর, বাংলাদেশ: এবার দেশের বৃদ্ধ নাগরিকদের সুরক্ষা প্রদান করতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করল বাংলাদেশ সরকার। এই প্রকল্পের সুবিধা মূলত পাবেন সেই দেশের বৃদ্ধা-বৃদ্ধরা। বয়স বেড়ে গেলেই অনেকেই পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে ওঠেন। তাঁদেরকে দেখতে চান না পরিবারের সদস্যরা। এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম আনল শেখ হাসিনার সরকার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী জানান এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের সম্মানের সঙ্গে বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করে দেওয়াই লক্ষ্য তাঁদের সরকারের।
আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী। সেখানে নিজের হাতেই এই প্রকল্পের সূচনা করেন। অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি বলেন, “ জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশের কি অবস্থা ছিল প্রায় সকলেই জানেন। না ছিল ভোটাধিকার। না ছিল ভাতের অধিকার। আমরা সেই পরিস্থিতির বদল ঘটাতে চেয়েছি। সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের মনে রাখতে হবে জাতির পিতা যে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তা যেন কোনও ভাবে ব্যর্থ না হয়”।
এখানে না থেমে তিনি আরও বলেন, “ আমার পিতা যেখানেই থাকুন না কেন তিনি এটা দেখছেন এবং খুশি হবেন বলে আমি মনে করি। তার প্রিয় দুঃখী লাঞ্ছিত মানুষদের জন্যই এই সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করছি। এর ফলে দুঃখী সাধারনের অর্থনৈতিক সুরক্ষা বাড়বে। কারোর কাছে হাত পাততে যেতে হবে না।বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। একদিকে করোনা, অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সব প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে এগিয়ে চলেছে দেশ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য ও অতিদারিদ্র্য দূরীকরণ, সামাজিক নিরাপত্তাসহ সব খাতেই সেবা পৌঁছে দিচ্ছি আমরা। আমি বাবা-মা-ভাই সবাইকেই হারিয়েছি। আমার তো কেউ নেই। ১৯৮১ সালে দেশে এসে কাউকে দেখিনি। আমি পেয়েছি এই দেশের মানুষকে। আমি মনে করি দেশের মানুষই আমার আপনজন। তাঁদের জীবনযাত্রার মার উন্নতি করার চেষ্টা করছি। এটা আমার বাবারও স্বপ্ন ছিল”। এই প্রকল্পের ফলে বৃদ্ধা-বৃদ্ধরা আর্থিকভাবে সফল হয়ে উঠবেন বলেই তিনি মনে করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ।