New Working Law- অফিস ছুটির পর বসের ফোন আসে, এবার তাহলে বসকে দিতে হতে পারে জরিমানা

বর্তমানে সরকারি চাকরির (govt jobs) ক্ষেত্রে অধিক প্রতিযোগিতা হওয়ার কারনে অনেকেই বেসরকারি কোনও সংস্থায় কাজ করছেন। কিন্তু বেসরকারি সংস্থার কাজের জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দিনরাত সকলের মধ্যে চলে ইঁদুর দৌড়। সেখানে ঘুম ভাঙা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত চলে কাজ আর কাজ। বেসরকারি সংস্থায় (private jobs) কর্মরতদের নয়টা – পাঁচটার ডিউটি থাকে না। অফিসে কাজের চাপ সামলেও বাড়ি ফেরার কোনও সঠিক সময় থাকে না এদের । নির্ধারিত সময়ের বাইরেও কাজ করিয়ে নেওয়া হয় বেসরকারি সংস্থার কর্মরতদের দিয়ে। এত চাপ সামলানোর পরও বাড়ি ফিরে শান্তি নেই তাদের। বাড়ি এসেও এদের অনেকটা সময় কেটে যায় বসের (boss) ফোন কল অথবা মেসেজের উত্তর দিতে। অনেকে এর সাক্ষীও রয়েছে।

করোনা ভাইরাসের মতো মহামারীর কারণে ঘরে বসে কাজ করা চালু হয়েছে। বাড়ি থেকে কাজ করার বেশ কিছু সুবিধা থাকলেও, এর কিছু অসুবিধাও আছে বটে। বাড়ি থেকে কাজ করার ফলে যাতায়াতের সময় যেমন বেচে যাচ্ছে তেমনি বর্ধিত হয়েছে কাজের সময়, অফিস শেষ হওয়ার পরেও বসদের কল আরও ক্লান্তি এনেছে। কর্মজীবনের এই ভারসাম্য হ্রাস করার জন্য, পর্তুগাল সরকার এক নতুন আইন জারি করেছে।

এই আইনে বলা হয়েছে, বসদের (boss) কাজের সময়ের পরে তাদের কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগ করতে নিষিদ্ধ। নতুন নিয়মের অধীনে, নিয়োগকর্তারা তাদের কাজের সময় পরে যোগাযোগ করলে জরিমানাও দিতে হতে পারে। নতুন আইন, যাকে “ বিশ্রামের অধিকার ” নামে অভিহিত করা হয়েছে। কাজ এবং জীবনের সঠিক ভারসাম্য রেখে জীবনকে উন্নত করার জন্য চালু করা হচ্ছে এই আইন। কারণ করোনা পরিস্থিতিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষই কাজ করছে ঘরে বসে। এই আইন কোম্পানিগুলিকে বাড়ি থেকে কাজ করার সময় একজন কর্মচারীর যে খরচ হয় যেমন বিদ্যুৎ এবং ওয়াই-ফাই চার্জ বহন করার জন্যও বলেছে।

আরও পড়ুন…….Kartik Puja 2021- কার্তিকের বাহন ময়ূর কেন, কার্তিকের নাম-সৌন্দর্য্যের পিছনে রয়েছে কোন ইতিহাস

লিসবনে ওয়েব সামিট সম্মেলনে পর্তুগালের শ্রম ও সামাজিক নিরাপত্তা মন্ত্রী অ্যানা মেন্ডেস গডিনহো মন্তব্য করেছেন, “আমরা পর্তুগালকে এই ডিজিটাল ফ্রিলান্সার এবং প্রত্যন্ত কর্মীদের বসবাসের জন্য বিশ্বের সেরা জায়গা মনে করি, আমরা তাদের পর্তুগালে আকৃষ্ট করতে চাই”। তিনি আরও বলেছেন “টেলিওয়ার্ক একটি ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে যদি আমরা সুবিধাগুলি থেকে লাভ করি এবং অসুবিধাগুলি হ্রাস করি,”।

পর্তুগাল প্রথম দেশ নয় যারা এই ধরনের আইন (law) চালু করেছে। ২০১৬ সালে, ফ্রান্স “সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অধিকার” নামে একটি অনুরূপ নিয়ম প্রণয়ন করেছিল। আইনটি ২০১৭ সালে কার্যকর হয়। এবার কর্মচারীদের অতিরিক্ত মানসিক চাপ হ্রাস করার জন্যই পর্তুগালে এই নতুন আইন জারি করা হয়েছে।




Back to top button