জল্পনার অবসান! সাত পাকে বাঁধা পড়লেন নোবেলজয়ী মালালা, জেনে নিন তাঁর স্বামীর পরিচয়
বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ মহিলা নোবেলজয়ী (World’s Smallest Noble Winner) ও শিক্ষা আধিকারিককর্মী মালালা ইউসুফজাই (Malala Yousafzai) ট্যুইট করে নিজের বিবাহের কথা জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ২৪ বছর বয়সী মালালা ইউসুফজাই একজন পাকিস্তানী মানবাধিকারকর্মী (Pakistani Activist), যিনি তালিবান (Talibaan) সম্প্রদায়ের চোখরাঙানিকে তোয়াক্কা না করেও নারী শিক্ষা ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন।
সেই মালালা-ই মঙ্গলবার সকালে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের উচ্চপদস্থ কর্তা আসার মালিকের সঙ্গে বিবাহের কথা জানিয়েছেন ট্যুইট করে। তিনি আসার এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে ছবি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, “আজ আমার জীবনের একটি মূল্যবান দিন। আসার এবং আমি পুরো জীবনের সঙ্গী হবার জন্য গাঁটছড়া বেঁধেছি। আমরা আমাদের পরিবারের সঙ্গে বার্মিংহামের বাড়িতে একটি ছোট নিকাহ অনুষ্ঠান উদযাপন করেছি। আমাদের জন্য আপনারা দোয়া করবেন। আমরা আগামীর পথে একসঙ্গে এগোনোর ব্যাপারে উদ্বেলিত।”
মালালা বিবাহের খবর প্রকাশ্যে আনতেই জাস্টিন ট্রুডো, ক্যাটরিনা কাইফ, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস-সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব নবদম্পতিকে শুভেচ্ছার বার্তা দেন। নিকাহর খবর ছড়িয়ে পড়তেই মালালার স্বামীকে তা নিয়ে বিশেষ আগ্রহ শুরু হয় নেটিজেনদের মধ্যে।
সংবাদ সূত্রে খবর, আসার মালিকের লিঙ্কেডিন অ্যাকাউন্ট মারফত থেকে জানা যায় তিনি পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফরম্যান্সের জেনারেল ম্যানেজার। গত মে মাসেই তিনি এই সংগঠনে যোগদান করেন। এছাড়া তিনি লাস্ট ম্যান স্ট্যান্ডস ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক।
এই বছরের জুলাই মাসে ব্রিটিশ পত্রিকা ‘ভগ্’ ম্যাগাজিনে মালালা ইউসুফজাই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি কখনও বিয়ে করবেন কিনা সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। তারপর নভেম্বরেই গাঁটছড়া বাঁধেন মালালা-আসার। মালালার আব্বা জিয়াসুদ্দিন ইউসুফজাই মালালার পোস্টটি রিট্যুইট করে লিখেছেন, ” এটি শব্দের দ্বারা প্রকাশ করা সম্ভব না। আমি এবং তুর পেকাই আমরা দুজনেই খুব আনন্দিত ও অভিভূত। আলহামদুলিল্লাহ্!”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘে নারীর শিক্ষা ও স্বাধীনতা নিয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন মালালা। শিশু অধিকার কর্মী কৈলাশ সত্যার্থীর সঙ্গে কাজ করার সময় ২০১৪ সালে শান্তি পুরস্কার ভাগ করে নিয়েছিলেন মালালা। পরে ২০২০ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক পাশ করেন মালালা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারীদের শিক্ষা ও স্বাধীনতার প্রসারে জয়ধ্বনি করা হয় মালালার নামে। কিন্ত তাঁর নিজের দেশ পাকিস্তানে এখনও তাঁকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে অনেক আপত্তি ও দ্বিধাবোধ রয়েছে।