Omicron: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট, বিশ্ব জুড়ে ফের উত্তাল পরিস্থিতি
অরুণিমা সরকার, কলকাতা- সালটা ২০২০, মাসটা মার্চ। দেশে আগমন এক নতুন ভাইরাসের(Virus)। যার প্রভাব যথারীতি বিস্তার হয়ে গিয়েছিল ভারতের বাইরে। এবার পালা ভারতের, করোনা(Corona) সংক্রমণের জেরে বিধ্বস্ত জনজীবন। বারেবারে রূপ বদলে বহুরূপীর (Polymorphous) মতো ফিরে এসেছে সে। করোনার বিধ্বংসী দ্বিতীয় ঢেউয়ের (2nd wave of corona virus) প্রভাব সামলে জনজীবন যখন একটু একটু করে মূল স্রোতে ফিরছিলো, ঠিক তখনই আবার নতুন রূপে আগমন এই জনবিদ্বেষমূলক রোগের। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আবির্ভাব এই নয়া স্ট্রেনের নাম হল ওমিক্রন(Omicron)।
ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন (World health Organization) এর সূত্রে জানা গিয়েছে যে, দুটি টিকাকরণ (Double vaccination) সম্পূর্ণ থাকলেও হয়তো নিস্তার নেই এই ওমিক্রন (omicron)-এর কবল থেকে। বিশিষ্ট চিকিৎসক কুণাল সরকারের মতে “বৎসোয়ানায় এই ভ্যারিয়্যান্টটি ধরা পড়েছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এই মুহূর্তে আতঙ্কের অন্যতম কারণ করোনার এই নতুন স্ট্রেন। প্রাথমিকভাবে নজরে রাখতে হবে এই স্ট্রেনটি যাতে কোনওভাবেই ছড়িয়ে না পড়ে। আর এই জন্য সংশ্লিষ্ট প্রদেশে যেখানে এই ভ্যারিয়্যান্টটি ছড়াচ্ছে সেখানে যদি সম্ভব হয় পুরো এলাকাটিকে সিল করে সেখানেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিৎ।”
করোনার এই নয়া স্ট্রেনের প্রসঙ্গে AIIMS-এর ডিরেক্টর ডা: রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন যে, “এই ভ্যারিয়্যান্টের বিরুদ্ধে করোনার টিকা কাজ করে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। সকলকে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি যাঁরা করোনা টিকা নিচ্ছেন না তাঁদের সামনে এসে টিকা নিতে হবে।” দক্ষিণ আফ্রিকার যে দুজন বাসিন্দার মধ্যে ওমিক্রন (omicron) এর সন্ধান মিলেছে, তাদের সদ্য ব্যাঙ্গালুরু এয়ারপোর্টে অবতরণ হয়েছে। এই ঘটনার ফলে সারা দেশে দাবানলের মতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন………Omicron – আবারও একবার লকডাউনের মুখে মুম্বাই! আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন চরিত্রে বারবার বদল ঘটতে ঘটতে এই ওমিক্রনের আবির্ভাব। স্বভাবতই এটি যে অন্যান্যদের তুলনায় বেশি শক্তিশালী, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এটির মিউটেশনও একাধিক বার হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে যারা করোনা (corona) আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে এই নতুন স্ট্রেন অর্থাৎ ওমিক্রন (omicron)-এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী রয়েছে। তাই তাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তরফে।
এদিকে আমাদের দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা নিরীখে শীর্ষে আছে কেরালা (Kerala)। সেখানে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার জন। এই তালিকায় পিছিয়ে নেই মহারাষ্ট্রও (Maharastra)। গত চব্বিশ ঘন্টায় সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৭ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সূত্র অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২২ কোটিরও বেশী মানুষের টিকাকরণ (vacation) হয়ে গিয়েছে।