মৃত্যুর আগেই ব্রিটেনের রানির শেষকৃত্যের পরিকল্পনা! ফাঁস ‘অপারেশন লন্ডন ব্রিজ’
বর্তমানে ব্রিটেনের গদিতে আছেন বছর পঁচানব্বইয়ের কুইন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। মাত্র ক’মাস আগে ইহলোক ত্যাগ করেছেন প্রিন্স ফিলিপ। এমতাবস্থায় বয়স শতক পূর্ণ করার আগে কুইনও যদি বিদায় নেন চিরতরে? তাহলে রানির সৎকার কীভাবে হবে, কতদিন ধরে চলবে শোক পালন, এসমস্ত পরিকল্পনা নাকি আগেই সেরে রেখেছে ব্রিটেনের রাজ পরিবার। সম্প্রতি ফাঁস হয়ে গিয়েছে ব্রিটেনের গোপন ‘রাজকীয়’ নথি, আর তাতেই সামনে এসেছে এলিজাবেথের প্রয়াণ-পরবর্তী পরিকল্পনা।
মার্কিন সংবাদপত্র ‘পলিটিকো’-য় প্রকাশ্যে এসেছে ‘অপারেশন লন্ডন ব্রিজ’! গোপন নথিতেই মোতাবেক রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু হলে সেই দিনটিকে “ডি-ডে” হিসাবে উল্লেখ করা হবে। যদিও এহেন নথির অস্তিত্ব সম্পূর্ণরূপে খারিজ করেছে বাকিংহাম প্যালেস। রাজ পরিবার মারফত জানা যায়, ব্রিটেনের মসনদে দীর্ঘতম সময় ধরে রয়েছেন কুইন। ফাঁস হওয়া নথি বলছে, মৃত্যুর ১০ তম দিনে সমাধিস্থ করা হবে রানির দেহ। তার পূর্বে পুত্র প্রিন্স চার্লস গোটা ব্রিটেন সফরে বেরোবেন।
মৃত্যুর পর পার্লামেন্ট হাউসে তিনদিন থাকবে রানির কফিনবন্দি দেহ। জনসাধারণ এসে রানিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে পারবে। পাশাপাশি কুইনের মৃত্যুকে ঘিরে দেশে যাতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, তার জন্য আঁটোসাটো নিরাপত্তার প্ল্যানও ছকা আছে এই নথিতে। কুইনকে আপাতত সমাধিস্থ করার কথা বলা হয়েছে লন্ডনেই। ফলত এই সময়ে লন্ডনে তিলধারণের জায়গাটুকু না থাকাটাই স্বাভাবিক। কীভাবে ভিড় ও যানজট সুষ্ঠভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, সে পরিকল্পনাও নাকি সেরে ফেলা হয়েছে!
‘অপারেশন লন্ডন ব্রিজ’ অনুযায়ী, শোকসভা ও অন্তিম সংস্কার হবে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চে। রানির চলে যাওয়ার পর নতুন রাজা কে হবেন, সে বিষয়েও রয়েছে স্পষ্ট ইঙ্গিত। জানা যাচ্ছে, নব রাজা হবেন চার্লস। মায়ের শেষকৃত্য করে চারটি দেশে সফরে যাবেন রাজা। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়াণের দিনটিকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করার কথা হয়েছে ব্রিটেন প্রশাসন ও রাজ পরিবারের মধ্যে। যদিও প্যালেস এই পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়েছে।
জানা যায়, ২০১৭ সালে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার একটি প্রতিবেদনেও ‘অপারেশন লন্ডন ব্রিজ’-র নাম উল্লেখ করা হয়। রানির প্রয়াণের পর সেন্ট জেমস প্যালেসে নতুন রাজা হিসেবে চার্লস দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, গার্ডিয়ান জানায় এমনই। রানির মৃত্যুর আগেই শেষকৃত্যের পরিকল্পনা সেরে রাখার বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখেননি কেউই। রাজপরিবারের বিতর্কের খাতায় এই নতুন ইস্যুতে অন্য দৃষ্টিকোণ চোখে পড়ছে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরই।