Death Machine: মুহূর্তেই ঘনাবে মৃত্যু, এই যন্ত্রের মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম ইচ্ছামৃত্যুকে স্বাগত জানাতে চলেছে এই দেশ

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৯ ধারায় আত্মহত্যার চেষ্টা করলে সংবিধানে শাস্তির কথা বলা হয়েছে। সুতরাং ইচ্ছা মৃত্যু কে বরণ করতে গিয়ে যদি সেটা বিফলে যায় তবে আপনাকে শাস্তি দেওয়া হবে। আর বিফলে না গেলে একটু কৌতুক মিশিয়ে বলা চলে জীবনের মতন ‘ছুটি’। এই ইচ্ছা মৃত্যু বিষয়টা নিয়ে নানা লোকের নানা মতের সমারোহ। কেউ এর পক্ষে কেউ বিপক্ষে। কেউ চায় সারাজীবন বেচেঁ থাকতে, কেউবা জীবনের গাড়ি থেকে নেমে পড়তে। তবে এই “ইচ্ছা মৃত্যু” বিষয়টিকে প্রশ্রয় দিয়ে সবাইকে বিস্মিত করেছে সুইৎজারল্যান্ড।
আরও পড়ুনঃ SOURAV GANGULY – দাদাকে দেখে ক্রাশ খায় গোটা বাংলা, ‘শুধুই শুনি দেখি না’ হেসে জানালেন সৌরভ
প্রথম বিশ্বের দেশ হিসাবে সুইৎজারল্যান্ড পরিচিত। সেখানে ইচ্ছামৃত্যুর অনুমতি রয়েছে সকলের। অর্থাৎ সেখানকার মানুষেরা নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী মৃত্যুবরণ করতে পারবেন। তার জন্য কোনপ্রকার শাস্তি নেই। মৃত্যুবরণের এরূপ স্বাধীনতার জন্য গত ১ বছরে সুইৎজারল্যান্ডে প্রায় ১৩০০ জন নিজের ইচ্ছায় আত্মহত্যা করেছেন। এই ভাবনা চিন্তাকে আরও আধুনিক ভাবে সকলের সামনে একটি অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে পেশ করেছে সুইৎজারল্যান্ড। একটি ইচ্ছা মৃত্যুর যন্ত্র, যা ইতিমধ্যেই আইনি স্বীকৃতি পেয়েছে।
সুইৎজারল্যান্ডের মৃত্যুর চিকিৎসক ওরফে ‘ডক্টর ডেথ’ হিসেবে পরিচিত Philip Nitschke। তিনিই এই যন্ত্রটির পরিকল্পনা করেছেন। যন্ত্রটি দেখতে অনেকটা ক্যাপসুল আকৃতি। মহাকাশযানের মতন বললেও ভুল বলা হবেনা। যিনি মৃত্যু চাইছেন স্বেচ্ছায় উনি ওই ক্যাপসুলের মতন যন্ত্রে ঢুকে পড়তে পড়বেন। তার পর বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে যন্ত্রের মধ্যে কমিয়ে আনা হবে অক্সিজেন ও কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা। এবং এই গোটা প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হতে সময় লাগবে এক মিনিটেরও কম। অর্থাৎ এক পলকেই মৃত্যু হবে ব্যক্তিটির। ইতিমধ্যেই যন্ত্রটি ছাড়পত্রের ঘোষণার পর থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে।
মেশিনটি কোথায় কোথায় পরিচালনা করা হবে সে উত্তরে সুইৎজারল্যান্ড জানিয়েছে যে বা যারা মৃত্যু বরণ করতে চাইবেন তাদের কাছে সংস্থা যন্ত্রটি নিয়ে যাবেন। সেখানেই হবে সবকিছু।
যন্ত্রটির ইতিমধ্যে নাম দেওয়া হয়েছে সারকো। ২০২২ সালে সারকো বাজারে বিক্রি করা হবে এমনটাই জানিয়েছে এই যন্ত্রের প্রস্তুতকারক সংস্থা। যদিও যন্ত্রটির তৈরীর জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়েছে তবুও প্রস্তুতকারক সংস্থা আশা করছে বাজারে এই যন্ত্রের সাফল্য নিয়ে। অনেকে যন্ত্রটির জন্য বাহবা দিলেও সমালোচনা হচ্ছে প্রচন্ড পরিমাণে। কেউ কেউ কটাক্ষ করে বলছেন এই যন্ত্র আবিষ্কার করা হয়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা আরও প্রকট ভাবে পশ্রয় দেওয়ার জন্য। তবে অনেকেই আবার সারকো-র অপেক্ষায় রয়েছেন।