চলবে না অন্যদেশের টাকা! আফগানিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রা নিষিদ্ধ করল তালিবান সরকার
আফগানিস্তানে তালিবান (Talibaan) শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই অর্থনীতির চাকা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। বিদেশি রাষ্ট্র তথা বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে অর্থ সাহায্য আগেই বন্ধ করা হয়েছে। তার ফলে ধুঁকছে উন্নয়ন। এবার নিষিদ্ধ করা হল বৈদেশিক মুদ্রা (Foreign Currency)। অভ্যন্তরীণ পণ্য ও পরিষেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো রকম বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করা যাবে না বলে ঘোষণা করেছেন তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।
অভ্যন্তরীণ ব্যবসায় তালিবান সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা নিষিদ্ধ করার ঘোষণা অর্থনীতিকে দুর্বল করবে বলেই মনে করছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা। বিভিন্ন রাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তানের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করতে চাইছে না। আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় আফগানিস্তান পিছিয়ে পড়ছে বলেই অভিমত ওয়াকিবহাল মহলের। এই অবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার নিষিদ্ধ করায় সংকট বাড়বে বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
উল্লেখ্য তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এও বলেছেন যে, দেশীয় ব্যবসার ক্ষেত্রে আফগান মুদ্রার বদলে অন্য দেশের মুদ্রা ব্যবহার করলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে। দেশের অভ্যন্তরে মার্কিন ডলারের (US Dollar) ব্যবহারে রাশ টানার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশের দক্ষিণ সীমান্তের কাছে বিভিন্ন বাণিজ্য পথে পাকিস্তানি রুপির ব্যবহার বন্ধ করাও তালিবান সরকারের উদ্দেশ্যে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
প্রসঙ্গত, তালিবানের আফগানিস্তান দখলের পর চিন, পাকিস্তান ছাড়া প্রায় বেশিরভাগ দেশ দূরত্ব বাড়িয়েছে। এই অবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারে টান পড়েছে। ব্যাঙ্কগুলোতেও দেখা গেছে অর্থের অভাব। এই অবস্থায় দেশীয় ব্যবসার ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার নিষিদ্ধ করায় কতটা স্বস্তি জোগাবে অর্থনীতির, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে আফগানবাসী।
তালিবান মুখপাত্র এও বলেন যে, “দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং জাতীয় স্বার্থের উন্নয়নে প্রতিটি আফগান দেশীয় মুদ্রা ব্যবহার করবে।” অন্যদিকে, এ দিনও কাবুলের একটি সামরিক হাসপাতালে জঙ্গিরা হামলা চালায়। আত্মঘাতী বোমা ও বন্দুকধারীদের আক্রমণের মুখে পড়ে ১৯ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছেন।