৯/১১-র বর্ষপূর্তিতেই নতুন তালিবান সরকারের শপথ, আমেরিকাকে কড়া বার্তা দিয়ে শুরু যাত্রা
ক্ষমতায় আসতেই চোখ রাঙানি শুরু তালিবানদের। গত ৭ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন ঘোষণা করে তালিবান। তথ্যসূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর ১১ থেকে সেই সরকারের কার্যকাল শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আল-কায়েদার আক্রমণের সেই মর্মান্তিক দিনটাকেই কেন বেছে নেওয়া হলো সরকারের সূচনা দিবস হিসেবে ?
অনেকের মতে, ১১ সেপ্টেম্বরের দিনটা বেছে নিয়ে মার্কিন প্রশাসনকেই কড়া বার্তা পাঠাতে চাইছে তালিবানেরা। ২০০১ সালে আল-কায়েদার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার আক্রমণ করার পরে, গোষ্ঠীর প্রমুখ ওসামা বিন লাদেন গা ঢাকা দেয় আফগানিস্তানে। তার খোঁজেই আফগানিস্তান আক্রমণ করে মার্কিন সেনা বাহিনী, সেই থেকে দীর্ঘ দুইদশক ক্ষমতাচ্যুত থাকার পর গত ১৫ আগস্ট, দ্বিতীয়বারের জন্যে কাবুল তথা আফগানিস্তানের মনসদের দখল নেয় তালিবান। ৩১ আগস্টের মধ্যে সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
যদিও তালিবান সূত্রে এই বিষয় জানানো হয়েছে অন্য কথা। এক তালিবান মুখপাত্রের অনুযায়ী ” ১১ তারিখ থেকে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তবে এর পিছনে আমেরিকাকে জব্দ করার কোনো উদ্দেশ্য নেই আমাদের। আমাদের কাছে ১১ সেপ্টেম্বর জিহাদের দিন। তাই সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।”শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে চীন, রাশিয়া, কাতার, ইরান এবং তুরস্ককে আমন্ত্রণ জানিয়েছে তালিবান। নতুন সরকারের বিদেশনীতি গঠনের জন্যেই এই পদক্ষেপ, তা অনুমান লাগাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা।
ইতিমধ্যেই, নিজেদের নাম মার্কিন স্যাংশন লিস্ট থেকে সরানোর আবেদন জানিয়েছে তালিবানের হক্কানি গোষ্ঠী। হক্কানি গোষ্ঠীর প্রমুখ তথা আফগানিস্তানের বর্তমান গৃহমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হক্কানি স্বয়ং স্যাংশন লিস্টে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত। এ ছাড়াও তালিবান প্রমূখ মোল্লা মোহাম্মদ হাসান অখুনদ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইএর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় বর্তমানে শীর্ষে রয়েছেন। এদিকে তালিবান সরকারকে কোনভাবেই স্বীকৃতি দেবে না আমেরিকা, একথা বারেবারেই সাফ জানাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। এমতাবস্থায়। আফগানিস্তানের প্রশাসনিক ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকে।