বিশ্বভারতীর আন্দোলনের আঁচ কলকাতাতে,বিশাল মিছিলের ডাক ১০ বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের
বিশ্বভারতীর আন্দোলনের আঁচ ক্রমেই ছড়াচ্ছে গোটা রাজ্যজুড়েই। এদিকে বিশ্বভারতীর ৩ পড়ুয়া বহিষ্কারের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই পথে নামতে দেখা গিয়েছে এসএফআইকে। গোটা রাজ্যজুড়েই গত কয়েকদিন ধরে চলছে সংগঠিত প্রতিবাদ। অন্যদিকে একই সঙ্গে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ঐক্যবদ্ধ্ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এবার ফের রাস্তায় নামতে চলছে আইসা, আরএসএফ, পিডিএসএফ, প্রতিসরণ পত্রিকা সহ একাধিক বামপন্থী ছাত্র সংগঠন।
আগামী ৩রা সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার সময় মিন্টো পার্ক থেকে দেওয়া হয়েছে জমায়েতের ডাক। আইসা, আরএসএফ, পিডিএসএফ, প্রতিসরণ পত্রিকা ছাড়াও এই কর্মসূচীর পুরোভাগে দেখা যাবে এআইআরএসও, এআইডিএসও, ইনকিলাবি স্টুডেন্টস্’ ইউনিটি, প্রতিসরণ পত্রিকা,শ্রমিক-কৃষক-শিক্ষার্থী ঐক্য মঞ্চ, সিধু-কানু-বিরসা স্টুডেন্টস্’ ফ্রন্ট, স্টুডেন্টস্’ ইউনিটি ফর আ নিউ সোসাইটির সদস্যদের। দেওয়া হয়ছে যৌথ ফেসবুক পোস্ট। আর তাতেই বলা হয়েছে ওই দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচীর অংশ হিসাবেই কলকাতায় বিশ্বভারতীর গ্রন্থন বিভাগের সামনে মিছিল ও ২৪ ঘন্টার প্রতীকী অবস্থানও চলবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকদের ডেপুটেশন দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৩ অগাস্ট রাতে বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র তথা এসএফআই (SFI) নেতা সোমনাথ সৌ, হিন্দি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ছাত্রী রূপা চক্রবর্তী ও অপর ছাত্রনেতা ফাল্গুনী পানকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে জানিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস। এদিকে ‘বেঙ্গলি ক্রোনিক্যালের’ বিশেষ সাক্ষাৎকারে বহিষ্কৃত এসএফআই নেতা সোমনাথ সৌ অভিযোগ করেন, ভুয়ো তথ্য পেশ করে আমাদের দোষী প্রমান করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আইনি পথে না হেঁটেই তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে এসএফআই ছাড়া যে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের তরফে ৩ সেপ্টেম্বরের প্রতিবাদী কর্মসূচীর ডাক দেওয়া হয়েছে তাতে কড়া সমালোচনা কড়া হয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। তাঁকে ‘ফ্যাসিবাদী’ এবং ‘আরএসএসের দালাল’ বলেও তোপ দাগা হয়েছে। এদিকে বামপন্থীদের এই যৌথ মিছিলে এসএফআইকে দেখা না গেলেও ৩১ অগাস্ট বোলপুর স্টেশন চত্বর থেকে বড় মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল বিমান অনুগামীদের তরফে। অন্যদিকে ৩ সেপ্টেম্বরের মিছিলে ছাত্র সংগঠন ছাড়াও সমস্ত প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক সংগঠন, ইউনিয়ন, ফোরাম, প্রতিবাদী ব্যক্তিবর্গকে কর্মসূচিতে সামিল হতে আবহ্বন জানানো হয়েছে। এমতাবস্থায় এখন এটাই দেখার রাজ্যজোড়া ছাত্র আন্দোলনের মুখে পড়ে সোমনাথ, রূপা, ফাল্গুনীর সাসপেনশন ওঠে নাকি নিজের জেদেই অনড় থাকেন উপাচার্য। সেদিকে নজর রয়েছে শিক্ষা মহলেরও।