Calcutta High Court: ফের অভিযোগের আঙুল মমতার সরকারের দিকে, দুর্নীতি সিসি ক্যামেরায়

ফের দুর্নীতির(Corruption) অভিযোগ(Alegation) উঠলো রাজ্যের দিকে। কিছুদিন আগেই ভারতীয় জাদুঘরের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছিল। আদালত(High Court) সূত্রে জানা গিয়েছিল, কলকাতা জাদুঘরের সংস্কার ও দুষ্প্রাপ্য সামগ্রী রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মোট ১১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু তাঁর মধ্যে ১১০ কোটি টাকারই নাকি হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স কমিশনের একটি রিপোর্টে টাকা নয়ছয়ের এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।” যার জেরে কলকাতা হাইকোর্টে জাদুঘরের কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দায়ের হয়ে যায় জনস্বার্থ মামলা(PIL)।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার কথা মানুষের মাথা থেকে বেরোতে না বেরোতেই ফের একবার রাজ্যের দিকে উঠে এলো দুর্নীতির(Corrution) অভিযোগ(Alegation)। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে(Kolkata High Court) দায়ের হয়ে গেল একটি জনস্বার্থ মামলা(PIL)। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের(Central Government) বরাদ্দ অর্থে কলকাতার(Calcutta) বিভিন্ন রাস্তায় সিসিটিভি(CCTV) ক্যামেরা(Camera) বসানোয় দেখা যাচ্ছে অনিয়ম।
প্রসঙ্গত, নির্ভয়া-কান্ডের পর ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় সরকার(Central Government) ঠিক করে দেশে সব কটি মেট্রো সিটিতে(Metropoliton City) রাস্তায় নারী সুরক্ষার উদ্দেশ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। কথা মতোই কাজ! কলকাতার জন্য বরাদ্দ করা হল ১৮১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৫৬ কোটি টাকা পাঠানো হয়। অভিযোগ, ২০১৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো কাজ এগোয়নি। টেন্ডারে দুর্নীতির কারণেই এই এখনও ওই কাজ হয়নি। আবেদনকারী পক্ষের দাবি, ওই কাজের দায়িত্ব প্রথমে গিয়েছিল কলকাতা পুলিশের হাতে। কিন্তু, তাঁরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সেই গুরু দায়িত্ব চলে যায় ওয়েবেল(Webel)-এর ঘাড়ে। তার পরই ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়ে যায় জনস্বার্থ মামলা।
আরও পড়ুন….Indian Museum- এবার ‘দুর্নীতির’ তালিকায় জাদুঘর, হিসেব নেই শত কোটি টাকার
মামলাকারী সেঁজুতি মুখোপাধ্যায় হাইকোর্টে জানান, ওই প্রকল্পের টেন্ডারে দুর্নীতির জন্যই কাজ তেমন এগোতে পারেনি। বরাতে দেখা যাচ্ছে, একই কোম্পানির সিসিটিভি ক্যামেরা কেনার কথা বলা হয়েছে। আর সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর টেন্ডার পেয়েছে নির্দিষ্ট দু’টি সংস্থা। মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা কেনার অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে অনেক জায়গাতেই কাজ হয়নি। ফলে বাংলার নারী সুরক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই এই জনস্বার্থ মামলা।