Bear attack in Jalpaiguri: ভাল্লুকের হানায় ত্রস্ত গোটা শহর, জলপাইগুড়িতে অঘোষিত লকডাউন, বন্ধ বইমেলা

ওয়েব ডেস্ক: সুন্দরবনে(Sundarban) যেখানে বাঘের হানায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। সেখানে গতকালই হুগলীর শ্রীরামপুরে দেখা মেলে কুমিরের। এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ জুড়েই পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকায় দাপট চালায় দামাল হাতির দল(Elephant Attack)। এবার পালা জলপাইগুড়ির। গত কয়েকদিনব ধরেই ডুয়ার্সের একাধিক এলাকায় দেখা মিলছিল দামালের দলের। অন্যদিকে এবার ভাল্লুকের হানায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা শহর জুড়েই। গত কয়েকদিন ধরেই ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় ভাল্লুকের দেখা মিলছিল। এ বার জলপাইগুড়ি(Bear attack in Jalpaiguri) শহরেই ঢুকে পড়ল সে। প্রথমে পায়ের ছাপ ধরা পড়েছিল শহরের তিস্তা উদ্যানে। পরে সিসি টিভির ফুটেজেও দেখা যায় ভাল্লুকের ছবি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ির জেলা শাসকের বাংলোর পাশেও ভাল্লুকের পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
বুধবার সকাল ৭ টা ৭ মিনিটের সি সি টিভি ফুটেজে আবছা ছবিতে কিছু একটা জন্তু তিস্তা উদ্যানে ঘোরাফেরা করছে বলে দেখা গিয়েছে। বন দপ্তর সূত্রে খবর, ভুটান পাহাড় থেকে কয়েকদিন আগেই একটি ভাল্লুকের দল নীচে নেমে আসে। সেই দল থেকেই কিছু ভাল্লুক বিছিন্ন হয়ে যায়। তারাই বর্তামানে ডুয়ার্সের বিভিন্ন লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। তবে কোন এলাকায় তারা সাধারণত গা ঢাকা দিয়ে থাকছে তা খুঁজতে দিশাহীন হয়ে পড়ছেব বন দপ্তরের কর্মীরা। তবে চিরুনি তল্লাশি চলছে বিভিন্ন এলাকাতেই। কোনও ঝুঁকি না নিয়েই তল্লাশি শুরু করেছে বন দফতর। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা সরকারি বইমেলা (Jalpaiguri Book Fair)।
আরও পড়ুন- বয়স, অভিজ্ঞতা, প্রতিপত্তি সবেতেই ভিকির থেকে একধাপ এগিয়ে ক্যাটরিনা
বন কর্নীদের দাবি দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ভাল্লুক গুলি কারা কোন দিকে গিয়েছে তা জানতেই জোরদার তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় ভাল্লুকের পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়ার পরেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা শহর। একাধিক জায়গায় লাগানো হয়েছিল সিসিটিভি। আর সেই ফুটেজের সূত্র ধরেই এদিন ভাল্লুকের খোঁজ আরও জোরদার হয়েছে। ইতিমধ্যেই ডুয়ার্সের চারটি রেঞ্জ থেকে বন দপ্তরের কর্মীরা শহরে এসে পৌঁছেছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও গোটা শহরেই প্রায় অঘোষিত লকডাউন জারি হয়ে গিয়েছে। ভয়ে বাড়ির বাইরে বেরোনোর সাহস দেখাচ্ছেন না কেউই। ত্রাস রয়েছে আম-আদমির মধ্যেও। এদিকে শীতের শুরুতেই প্রতিবছরই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে এই ধরণের ঘটনা ঘটে থাকে। প্রতিবারেই প্রশ্ন ওঠে বন দপ্তরের নজরদারি নিয়ে।