বাবুল সঙ্গী থেকে মমতার প্রতিপক্ষ, ভাবানীপুরে বাঘিনীর মুখে পদ্মবহনা প্রিয়াঙ্কা! একনজরে রাজনৈতিক উত্থান
ফের বেজে গিয়েছে নির্বাচনী দামামা। ফের ভোটের হাওয়ায় তপ্ত হতে শুরু করেছে বাংলার মাটি। এদিকে রাজ্যের সাতটি কেন্দ্রে ভোট বাকি থাকলেও আপাতত ৩০ সেপ্টেম্বর তিনটি আসনে ভোট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ৭ কেন্দ্রের মধ্যে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর, মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গীপুরে উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও সবার নজর আটকে ভবানীপুরেই(Bhabanipur)। কারণেই এই আসনের জয়ের উপরেই নির্ভর করছে মমতার আগামীর মুখ্যমন্ত্রীত্ব। এদিকে এবার এই ভাববনীপুরেই খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোকে টক্কর দিতে চলেছেন বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল(Priyanka Tibrewa)।
নামে খানিক অচেনা হলেও দীর্ঘকাল থেকেই দিলীপদের গুডবুকেই রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। আসন্ন উপনির্বাচনে মমতাকে টক্কর দেওয়া সিদ্ধান্ত নিলেও প্রিয়াঙ্কাকে যে খোদ বাঘিনীর মুখে ঠেলে দিয়েছে বিজেপি তা মানছেন সকলেই। এদিকে নির্বাচনী লড়াইয়ের ট্র্যাক রেকর্ড একদমই ভালো নয় প্রিয়াঙ্কার। গত বিধানসভা নির্বাচনে এন্টালির প্রার্থী হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু সেখানেও ধরাশায়ী হন এই অবাঙালী বিজেপি প্রার্থী।
এদিকে একটুর জন্য নন্দীগ্রাম(nandigram) হাত ছাড়া হলেও ভবানীপুর মমতার(Mamata Bandopadhyay) চেনা জমি। অপরদিকে প্রিয়াঙ্কা আবার সেখানে অনেকটাই আনকোরা। তাই কীভাবে তাঁকে সেখানে দাঁড় করাল বিজেপি সেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে। সূত্রের খবর, এই সিদ্ধান্তের জেরে বঙ্গ বিজেপির অন্দরেই তৈরি হয়েছে ক্ষোভের বাতাবরণ। যদিও শেষ পর্যন্ত শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন সকলে।
এদিকে একুশের নির্বাচনের পর থেকে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু বিজেপি বিধায়ক এবং নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সেখানে প্রিয়াঙ্কা কিন্তু সেটা করেনি। এমনকী হেরে গিয়েও গোঁসা করেননি দলীয় নেতৃত্বের উপর। আর তাতেই সহজেই দিলীপ ঘোষের গুডবুকে সহজেই জায়গা করে নিয়েছেন তিনি, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এদিকে পেশাগত ভাবে প্রিয়াঙ্কা আবার আইজীবীও বটে। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতে বিজেপি-র আইনজীবী হিসেবে লড়াইয়ের ময়দানে দেখা গিয়েছে তাকে। তাতেও বেশ খানিকটা বেড়েছিল তাঁর জনপ্রিয়তা।
এমনকী দলের বহু মামলাও একা হাতে লড়েছেন তিনি। এদিকে বিধানসভা নির্বাচনেকর টিকিট পাওয়ার আগে দীর্ঘদিন থেকেই গেরুয়া রাজনীতির সঙ্গে যোগ ছিল প্রিয়াঙ্কার। ২০১৪ সালে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরে ২০২০ সালে যুব মোর্চার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান এই পদ্ম নেত্রী। এদিকে ২০১৫ সালের পুর নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে দেখা যায় তাঁকে। ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী ছিলেন তিনি। যদিও সেখানেও মুখ থুবড়ে পড়েন তিনি।