বাবুলের ‘ফুল’বদল, গায়কের দলত্যাগকে ‘মিউচুয়াল ডিভোর্স’ বলে কটাক্ষ বিজেপির

বাবুলের দলবদল আদতে ‘মিউচুয়াল ডিভোর্স’, সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপির তরফে উড়ে আসা এহেন কটাক্ষে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। ‘আজকাল মাঝেমাঝেই যে ধরনের শান্তিপূর্ণ বিচ্ছেদ হয়, এও তেমনই ঘটনা’, সাফ কথা বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের।

তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর রবিবার প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে বসেন বাবুল। স্বভাবতই ধেয়ে আসে একের পর এক চাঁচাছোলা প্রশ্ন। যদিও মাথা ঠাণ্ডা রেখে বেশ দক্ষতার সঙ্গেই সবটা সামলে দেন তিনি। অন্যদিকে ডেরেক-বাবুলদের বৈঠকের পাল্টা হিসেবে মুরলীধর সেনে বৈঠক ডাকে বিজেপি। প্রশ্নের অধিকাংশটাই জুড়ে ছিলেন দু’বারের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।

বঙ্গ বিজেপি,Bengal BJP,তৃণমূলে বাবুল সুপ্রিয়,বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ,বিজেপির সাংবাদিক বৈঠক,বিজেপির বাংলা খবর

গেরুয়া বৈঠকে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে শমীকের সপাটে উত্তর, “সুস্থ সমাজে বিচ্ছেদ হয়। যাকে মিউচুয়াল সেপারেশন বা মিউচুয়াল ডিভোর্স বলি আমরা। সেটা যথেষ্ট সুখের এবং সম্মানজনক। সংসার যখন ভেঙেই গিয়েছে, যে যেখানে সংসার করতে পারেন, শান্তি পান, সেটাই কাম্য। এটা এখন বন্ধ অধ্যায়।”

বঙ্গ বিজেপি,Bengal BJP,তৃণমূলে বাবুল সুপ্রিয়,বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ,বিজেপির সাংবাদিক বৈঠক,বিজেপির বাংলা খবর

দলবদলের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বাবুল জানান, “বিজেপি আমাকে প্রথম একাদশে রাখেনি।” ফলত একরকম ‘খেলতে’ চেয়েই ঘাসফুলে আসা তাঁর। সে প্রসঙ্গেও তীক্ষ্ণ জবাব দিয়েছে পদ্মশিবির। “বিজেপির কাছে রাজনীতিটা ‘খেলা’ নয়। ফলে যাঁরা খেলতে চান, তাঁরা তৃণমূলে স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন”, কড়া প্রতিক্রিয়া শমীকের।এইভাবে হঠাৎ ‘দলবদলু’দের দলে নাম লেখানোয় বাবুলকে রীতিমতো ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিয়েছে গেরুয়াশিবির। সাংবাদিক বৈঠকে সুর চড়িয়ে শমীকের তোপ, “দল তথা আসানসোলবাসীর সঙ্গে তিনি যা করলেন, সেটাকে বিশ্বাসঘাতকতা বলে। নিজের যশ, পারিবারিক ঐতিহ্যের সঙ্গে একেবারেই সুবিচার করলেন না উনি।”




Back to top button