রবীন্দ্রনাথ-সত্যজিতের গ্রাফিতি-তে সেজে উঠছে তিলোত্তমা, শহরের ভোল বদলাতে নয়া উদ্যোগ WBTC-র

একসময় ব্রিটিশ শাসিত ভারতের রাজধানী ছিল কলকাতা। সাহিত্য হোক বা বিনোদন, বিজ্ঞান হোক বা ক্রীড়া প্রতিক্ষেত্রেই গোটা বিশ্বজুড়েই সমাদৃত হত কলকাতার নাম। এবার সেই সমস্ত প্রবাদপ্রতিম মানুষদের চিরস্মরণীয় করে রাখতে নতুন উদ্যোগ নিতে দেখা গেল রাজ্য পরিবহণ নিগমকে (West Bengal Transport Corporation)।  কালার্স অব কলকাতা’ (Colours of Kolkata) নামে এক অভিনব চিত্র সমাহারেই সেজে উঠতে শুরু করেছে কলকাতার অলিগলি।

Graffiti in Kolkata,Graffiti across the wall,State Transport Corporation,Roads in Kolkata,Pujo in Kolkata,কলকাতায় গ্রাফিতি,দেওয়াল জুড়ে গ্রাফিতি,রাজ্য পরিবহণ নিগম,কলকাতার রাস্তা,কলকাতার পুজো

এদিকে এই বছরেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০ তম জন্মবার্ষিকী৷ সেইসঙ্গে রয়েছে সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ৷ আর এই দুই কৃতীমানের স্মরণই গ্রাফিতির প্রাথমিক বিষয়বস্তু করা হচ্ছে। রাজ্য পরিবহণ নিগম সূত্রে খবর, প্রাথমিক পর্বে বিষয়বস্তু হিসাবে রাখা হয়েছে উপন্যাসের চারুলতা এবং সেলুলয়েডের চারুর দুই স্রষ্টার জীবন ও কাজ। যা নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে উন্মাদনা।

Graffiti in Kolkata,Graffiti across the wall,State Transport Corporation,Roads in Kolkata,Pujo in Kolkata,কলকাতায় গ্রাফিতি,দেওয়াল জুড়ে গ্রাফিতি,রাজ্য পরিবহণ নিগম,কলকাতার রাস্তা,কলকাতার পুজো

চলতি বছরের দুর্গাপূজার মধ্যেই শহরের বিভিন্ন দেওয়াল জুড়ে আঁকা হবে একাধিক দৃষ্টিনন্দন ছবি এবং গ্রাফিতি। সেজে উঠবে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়, পার্ক, রাস্তাঘাট। সম্প্রতি পার্ক সার্কাস ডব্লিউবিটিসি ডিপোর দেওয়ালে সত্যজিৎ রায়ের একটি সুন্দর ছবি এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বাক্ষরের একটি গ্রাফিতি দিয়েই শুরু হয়েছে এই ক্যাম্পেনের। এখনও চলছে বাছাই পর্ব। সূত্রের খবর, চিত্রায়ণের জন্য আপাতত বেছে নেওয়া হয়েছে শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকা ডব্লুবিটিসি-র বিভিন্ন ডিপোর দেওয়ালগুলিকেই৷

Graffiti in Kolkata,Graffiti across the wall,State Transport Corporation,Roads in Kolkata,Pujo in Kolkata,কলকাতায় গ্রাফিতি,দেওয়াল জুড়ে গ্রাফিতি,রাজ্য পরিবহণ নিগম,কলকাতার রাস্তা,কলকাতার পুজো

পরবর্তীতে বাংলার অন্যান্য মনীষীর স্মরণে চিত্রিত হবে কলকাতা৷ পার্ক সার্কাসের পর টলি ক্লাবের উল্টোদিকে টালিগঞ্জের ডিপো এবং বালিগঞ্জ ফাঁড়ি ও গড়িয়াহাটা এলাকার ডিপোর দেওয়ালেও এই ধরণের গ্রাফিতি ফুটিয়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে গ্রাফিতি উদ্যোগের প্রথম ছবিটি এঁকেছেন শিল্পী মুদর পাথেরায়া। এছাড়াও যোগাযোগ করা হচ্ছে শহর ও শহরের বাইরের একাধিক নামিদামি শিল্পীদের সঙ্গে।




Back to top button