Covid Update – আবারও বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণের হার, করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নতুন অস্ত্র ‘প্যাক্সলোভিড’
তিরিশ জনের উপর ট্রায়াল (trial)। তার মধ্যে ১৮ জনের ভাইরাল লোড কমেছে। মাত্র পাঁচদিন পরই দিব্যি সুস্থ। করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) বিনাশে নতুন ট্যাবলেট ‘প্যাক্সলোভিড’ নিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন কলকাতার চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, অক্টোবর মাসে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে (NRS Medical College) হয়েছে এই ট্রায়াল। তা চূড়ান্ত সফল হওয়ার পর এই মূহূর্তে ডিসিজিআই (DCGI) এর এমার্জেন্সি অ্যাপ্রুভালের অপেক্ষায় ‘প্যাক্সলোভিড’। চলুন দেখে নেওয়া যাক গত ২৪ ঘন্টার করোনা আপডেট (Covid Update)।
কড়া কোভিডবিধি, টিকাকরণে জোর এবং জনসচেতনতার ত্রিফলায় করোনা যুদ্ধে এগিয়ে চলেছে ভারত (India)। বহুদিন পর দেশে একদিনে করোনা সংক্রমণ নেমে এল ১০ হাজারের বেশ খানিকটা নিচে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা ৮,৪৮৮। মৃত্যু (Death) হয়েছে ২৪৯ জনের। আর একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ হাজার ৫১০ জন। কমছে অ্যাকটিভ কেসও (Active Case)। পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর (Active cases) সংখ্যা ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৪৩ জন। মোট আক্রান্তের ০.৩৪ শতাংশ মাত্র। ২০২০ সালের মার্চ থেকে এটাই সর্বনিম্ন অ্যাকটিভ কেসের রেকর্ড। রবিবারও দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্ত ছিল ১০ হাজারের বেশি। এর তুলনায় এই পরিসংখ্যান অনেকটাই স্বস্তিদায়ক।
যদিও কেরলের পরিস্থিতি নিয়ে এখনও চিন্তায় রয়েছে কেন্দ্র থেকে রাজ্য। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮,৪৮৮ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৫০৮০ জনই কেরলের। দক্ষিণের রাজ্যে একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ৪০ জন দেশবাসী। এদিকে এই রাজ্যের (West Bengal) ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ফ্যাসিলিটেটর স্নেহেন্দু কোনার জানিয়েছেন, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেছিল ৩০ জন। এদেরকে পাঁচদিনে দু’টি করে ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। একেকটি ট্যাবলেট দেড়শো মিলিগ্রাম করে। ৫ দিন পর আরটিপিসিআর (RT-PCR) টেস্ট করে দেখা গিয়েছে ষাট শতাংশেরই ভাইরাল লোড বা রক্তে ভাইরাসের পরিমাণ কমে গিয়েছে। ২৮ দিন ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের পর্যবেক্ষণ করেছে বিশেষজ্ঞরা। দেখা গিয়েছে নানান কো-মরবিডিটি (Co-morbidity) থাকা সত্ত্বেও কেউই গুরুতর অসুস্থ হননি।
অন্যদিকে, জোরকদমে দেশে চলছে টিকাকরণ (Corona vaccination)। ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের সকলকে টিকার সুরক্ষা দিতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। সেইমতো কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড এবং রাশিয়ার স্পুটনিক ভি দিয়ে চলছে টিকাকরণের কাজ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন রাজ্যে খুলছে স্কুল-কলেজ। তবে সংক্রমণের আশঙ্কায় জমায়েতে এখনও জারি নিষেধাজ্ঞা।