Dakshineswar School : পড়া বোঝাচ্ছিলেন দিদিমণি, ভেসে আসে ইঙ্গিতপূর্ণ শিষ! শাস্তি দিতে ছাত্রের চুল কেটে প্রশ্নের মুখে প্রধান শিক্ষিকা

ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক বোর্ডে লিখছেন আর ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে বিভিন্ন আওয়াজ করছে গোলমাল করছে, এ একেবারে কমন চিত্র। আমরা প্রত্যেকেই এই চিত্রের সাথে পরিচিত। গোলমালের শাস্তি অবশ্য হয়; কান ধরে দাঁড়ান, উঠবস করা ইত্যাদি ইত্যাদি। ছাত্ররাও মজা করে চালিয়ে গেছে এই রীতি আর শিক্ষকেরাও মজার ছলেই নিয়েছেন। কিন্তু যদি মজা থেকে সিরিয়াস হয় আবহ। ক্লাসে শিষ দেওয়ার মত অপরাধে যদি কেটে দেওয়া হয় ছাত্রের চুল, তখন সমাজে বার্তা পৌঁছায় কোথায় শিক্ষকদের দায়িত্ববোধ?
এমনই চরম অমানবিক চিত্র উঠে এসছে দক্ষিণেশ্বরের আড়িয়াদহ কালাচাঁদ স্কুল ( Ariadah Kalachand School, Dakshineshwar) থেকে। স্কুলে তখন নবম শ্রেণিতে চলছিল ভৌতবিজ্ঞানের ক্লাস। আর ক্লাস নিচ্ছিলেন একজন মহিলা শিক্ষক। বোর্ডে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝাচ্ছিলেন দিদিমণি, আর তখনই ভেসে আসে ইঙ্গিতপূর্ণ শিষের আওয়াজ। শিক্ষিকা জানতে চান, এটি কোন ছাত্রের কাজ? কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই ছাত্রদের তরফ থেকে আসে না কোনই উত্তর। জানা যায় না, আদেও কোন ছাত্র করেছিল সেই আওয়াজ ?
কোনও সুনির্দিষ্ট উত্তর না পেয়ে সন্দেহবশত ৭ জন ছাত্রকে চিহ্নিত করেন ওই মহিলা শিক্ষক। তাঁদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী মজুমদারের ঘরে। তখন প্রধান শিক্ষিকাও ৭ জন ছাত্রের থেকে জানতে চান, কে করেছে এই কাজ? কিন্তু তিনিও কোন উত্তর না পেয়ে সন্দেহের বশে সাত ছাত্রেরই মাথার চুল হাতে কাঁচি দিয়ে কেটে দেন প্রধান শিক্ষিকা নিজে। আলমবাজার এলাকার ছাত্র সায়ন্তন মান্নার পরিবার এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন।
ক্লাসে শিস দেওয়া নিঃসন্দেহে গুরুতর অপরাধ বলেই মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু কে ওই কাজ করেছে? এবং তা না জেনে কেবলমাত্র সন্দেহের বশে এহেন শাস্তি দেওয়া আদেও যায় কি? বা ছাত্রের মাথার চুল কেটে নেওয়া কি কখনও শাস্তি হতে পারে? উঠছে বিস্তর প্রশ্ন। আর সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী মজুমদারের ভূমিকা নিয়ে। অভিভাবকদের স্পষ্ট বক্তব্য, শাস্তি অনেকরকমের হতে পারে এবং ছাত্র দোষ করলে তা নিঃসন্দেহে লাগু করতে পারেন শিক্ষকেরা। কিন্তু এই ধরনের শাস্তি কোনওভাবেই মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। তাই প্রধান শিক্ষিকার শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন আতঙ্কিত ছাত্র পরিবারের সদস্যগণ। উল্টোদিকে প্রধান শিক্ষিকা বা স্কুলের তরফ থেকে কোন রকম বক্তব্য সামনে আসেনি।