Dengue Fever: করোনার দোসর ডেঙ্গু! সংক্রমণ থেকে বাঁচতে করণীয় কী কী?
আক্ষরিক অর্থে করোনার সঙ্গে প্রায় ২ বছরের ‘সংসার’ আমাদের। যখন দ্বিতীয় ঢেউয়ের অন্তে চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউ, রোগের সারিতে ঢুকে পড়েছে ডেঙ্গু। দেশের একাধিক রাজ্যে হঠাৎই বাড়ছে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের খবর, ডেঙ্গুতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর প্রদেশ। ডেঙ্গুর ডি২ বা ডিইএনভি-২ স্ট্রেন মিলেছে উত্তর প্রদেশে।স্বাস্থ্যপর্ষদের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গুর সেরোটাইপ টু বা ডি২ অত্যধিক ক্ষতিকারক এবং সংক্রামক। শুধু মুম্বইতেই অগস্ট জুড়ে ডেঙ্গুর ১৪৪ টি ঘটনার কথা জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, শুধু কোভিড নয়, ডেঙ্গু ও মারণব্যাধি একই শরীরে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির নজির রয়েছে গত একমাসে। পাশাপাশি কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন কোভিডে, যার ফল ভয়াবহ।
সাধারণত এডিস মশার কামড়ে হয় ডেঙ্গু হয়। ডেঙ্গুর পাশাপাশি জিকা এবং চিকুনগুনিয়া ভাইরাসও বহন করে এডিস। যদি একজন গর্ভবতী মহিলা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন, তাহলে গর্ভাবস্থা বা সন্তান প্রসবের সময় ভাইরাসটি খুব সহজেই ভ্রূণে প্রবেশ করতে পারে। এই রোগ অর্গ্যান ডোনেশন এবং রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।ডেঙ্গুর প্রাথমিক জ্বর: জয়েন্ট এবং পেশী ব্যথা, খুব বেশি পরিমাণে জ্বর, শরীরে ফুসকুড়ি, ঘন ঘন বমি হওয়া এবং তীব্র মাথাব্যথা হতে পারে। এই লক্ষণগুলি সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যে চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গেই কমতে থাকে। এটা খুব বেশি মারাত্মক হয় না।
একজন গর্ভবতী মহিলার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে গর্ভাবস্থা বা সন্তান প্রসবের সময় খুব সহজেই ভ্রূণে প্রবেশ করতে পারে এই ভাইরাস। অঙ্গদান এবং রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে ডেঙ্গু।ডেঙ্গুতে ব্রেন হ্যামারেজের ফলে মাড়ি, নাক, মুখ থেকে রক্ত পড়তে পারে। পাশাপাশি রক্তের অনুচক্রিকা কমে যাওয়া, অঙ্গের ভিতরে রক্তপাত, ডায়ারিয়া, খিঁচুনি, ত্বকে রক্তের দাগ, তীব্র জ্বর এবং পেটে মারাত্মক ব্যথা ডেঙ্গুর স্পষ্ট লক্ষণ। যথাযথ চিকিৎসা ছাড়া মৃত্যুও হতে পারে রোগীর, মত চিকিৎসকদের।
ডেঙ্গু রুখতে দরকার সতর্কতা। মূলত জমা জলে ডিম পাড়ে এডিস। গাছের টব, বালতি বা যেকোনো বদ্ধ স্থানে জল জমতে দেওয়া যাবে না। একদিন অন্তর পরিষ্কার করতে হবে টব। পাশাপাশি খোলা ড্রেন বা বদ্ধ জলাশয় থেকে দূরে থাকা উচিত নাগরিকদের। রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে খাবারে অবশ্যই রাখতে হবে সবুজ শাকসবজি ও প্রোটিন যুক্ত খাবার।মশার কামড় থেকে বাঁচতে ব্যবহার করা যেতে পারে মশার প্রতিরোধক ক্রিম। অনেকেই এই ধরনের ক্রিম মাখতে চান না, সেক্ষেত্রে ফুল হাতা জামা ও ফুল প্যান্ট বাধ্যতামূলক। ঘুমানোর ক্ষেত্রে মশারি এবং মশা নিরোধক স্প্রে ব্যবহার আবশ্যক। মশাকে দূরে রাখতে হলে সন্ধ্যায় জানালা-দরজা বন্ধ রাখতে হবে।