Arpita Mukherjee: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! ২২ কোটি ২০ লাখ বাদেও অর্পিতার অন্যান্য ফ্ল্যাটে ‘কুবেরের ধন’, কী কী আছে জানেন?

অহেলিকা দও, কলকাতা : প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী চট্টপাধ্যায়ের অধিকার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ( Arpita Mukherjee ) ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২১ কোটি টাকা। এছাড়াও লাখ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রা ও গয়না উদ্ধার। আবার বেশ কিছু মোবাইল ফোনও পাওয়া গেছে তাঁর বাড়ি থেকে। টানা একদিনের জেরার পর শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছিল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে।
এসএসসির শিক্ষক নিয়োগের অনিয়মকে ঘিরে ইডি তল্লাশির মুখে পড়েছিল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তারপরই এসব কান্ড! যাকে এক কথায় বলে ‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে’। শনিবার তাঁকে গ্রেফতারের পর সারা রাত সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে রাখা হয়। তারপর রবিবার তাঁর চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে পেশ করা হবে ব্যাঙ্কশাল আদালতে। শনিবার রাতেই গ্রেফতারির পর প্রায় তিন ঘণ্টা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় অর্পিতার।
ইডি সূত্রে খবর, আদালতে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট সূত্রে খবর, অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে মোট ২১ কোটি ২০ লাখ টাকা নগদ, ৫৪ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রা এবং ৮৪ লাখ টাকার গয়না ও সোনা। একাধিক বাড়ি ও সম্পত্তির দলিল উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকেও অর্পিতার নামে সাতটি দলিল মিলেছে।
অর্পিতার কাছে এত অর্থ, গয়না, মোবাইল ফোন উদ্ধারের জবাব চায় ইডি। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, কোথা থেকে কার মাধ্যমে এল এত টাকা? কে দিল তাকে? যদিও কে দিয়েছে সেটা আন্দাজ করা কঠিন কিছু নয়। একই ভাবে অন্য কোথাও টাকা গচ্ছিত রাখা আছে কি না তাও জানতে চায় ইডি। অর্পিতার নামে যে সাতটি দলিল মিলেছে সেই সম্পতি কোন টাকায় কেনা হয়েছে? অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে যে ২২ টি মোবাইল ব্যবহার হয়েছে সেগুলি দিয়ে কী কী কাজ করা হতো?
এছাড়া ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতার নামে একাধিক কোম্পানি রয়েছে। সেগুলি সবই ভুয়ো কোম্পানি। ভুয়ো কোম্পানি খুলে টাকা পাচার করা হয়েছে বলে অনুমান। কার নির্দেশ খোলা হয়েছে সেগুলি? বেআইনিভাবে হাতানো টাকা দিয়ে আর কোথায় কোথায় কী সম্পত্তি কেনা হয়েছে? তবে এইসব প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি অর্পিতা। এই তদন্তে কোনরূপ সাহায্য করছেন না তিনি।
একবার যখন কেঁচো থেকে কেউটে বেরিয়েছে তখন কেউটে ছাড়া আর কী কী বেরোয় দেখা যাক। সূত্রের খবর, অর্পিতার বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে ইডি। তিনটি সম্পত্তি রয়েছে বেলঘরিয়ায়। সেখানে অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাট এবং একটি বাড়ি রয়েছে। বীরনভূম জেলাতেও রয়েছে অভিনেত্রীর সম্পত্তি। তদন্ত জারি রয়েছে ইডির। মনে হচ্ছে ‘ওম শান্তি ওম’ সিনেমার ডায়লগের মত, ‘পিকচার আভি বাকি হে মেরে দোস্ত’।