Marriage Break – করোনা রিপোর্ট নিয়ে বিভ্রান্তি, বিয়ে ভাঙল এক তরুণীর
অহেলিকা দও, কলকাতা: করোনা ভেঙ্গেছে মন, করোনা ভেঙ্গেছে বন্ধুত্ব, করোনা ভেঙ্গেছে ভালোবাসা (love); কিন্তু ঠিক হয়ে যাওয়া বিয়েও (marriage) যে করোনা ভেঙে দিতে পারে, তাও দেখিয়ে দিল এই ভাইরাস(Corona)।
বিয়ের প্যান্ডেল বাঁধা থেকে শুরু করে বাজারহাটও প্রায় শেষ। বিয়ের (marriage) অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ কাজই প্রায় সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিয়ের আগে বর (Groom) চললেন দাঁতের স্কেলিং করতে। সেখানেই করোনা (corona test) পরীক্ষাও সেরে ফেললেন তিনি। আর রিপোর্ট (report) আসতেই ঘটল বিপদ। রিপোর্ট পজিটিভ (positive)। এরপরই নিয়মমাফিক স্বাস্থ্য দফতর সেই রিপোর্ট পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও ব্লক প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
আর তার ঠিক পরই শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা সেই তরুণীর বাড়ি গিয়ে বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। সেখানে ছিলেন পূর্ব বর্ধমান ভাতারের বিডিও অরুণ কুমার বিশ্বাস ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সংঘমিত্রা ভৌমিক এমনকি তাদের সঙ্গে ছিল ভাতার থানার পুলিশও। যদিও পাত্রী বলেছিল, তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ওই তরুণী আবার দাবি করেন,”আমার কোনও উপসর্গ ছিল না। পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর সন্দেহ হলে ফের আমি করোনা পরীক্ষা করাই। বৃহস্পতিবার আমার নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তাহলে কোনটা ঠিক?” উপরিউক্ত, এই ঘটনাকে ঘিরে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
আবার এক দিকে বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় তরুণীর মা ও বাবা হতাশাগ্রস্ত। তার বাবা বলেন, “আমি প্রশাসনের কাছে অনূর্ধ্ব করেছিলাম যাতে বিয়েটা অন্তত হয়। হাটবাজার সব নষ্ট হয়ে যাবে। আমার চরম ক্ষতি হয়ে গেল।” এবং মা ও বলেন,”সবজি বাজার সবকিছুই তো কেনা হয়ে গিয়েছে। এখন কি হবে জানি না।” এখন এই রিপোর্ট অনুযায়ী পূর্ব বর্ধমান ভাতারের বিডিও অরুণ কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন,”ওই তরুণীর দুটি রিপোর্ট সম্পর্কেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ও স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতোই বিয়ে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। আপাতত নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।”
একেই করোনা নিয়ে আতঙ্কিত গোটা রাজ্য। তার উপর করোনা পজিটিভ না নেগেটিভ তা নিয়েও চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বড়বেলুন নামক এক গ্রামে। করোনা টেস্ট করাতে প্রথমে রিপোর্ট পজেটিভ এলেও আবার দুদিন পরেই রিপোর্ট নেগেটিভ হয়ে যায় পাত্রের। তারপর প্রশাসনিক আদেশে শেষ পর্যন্ত ভেঙে গেল গোটা বিয়েটাই।