‘মানি হাইস্টেই’ মাত! বিশেষ সাক্ষাৎকারে যাদবপুরের ‘মাস্ক’ গ্রাফিতির কারিগর
“মাথা নোয়াতে শেখেনি কখনো শাসক তোমার কাছে,
যাদবপুরের দেওয়ালে দেওয়ালে বিদ্রোহ লেখা আছে”
জন্মলগ্ন থেকেই এই স্লোগান মিলেমিশে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে কানাচে। গত কয়েক দশক ধরেই এক স্পর্ধার নাম হয়ে উঠেছে যাদবপুর। পাশাপাশি নেটফ্লিক্সের সৌজন্যে ‘মানি হাইস্ট’ সিজনটি সামনে আসার পর থেকেই ‘লাল জাম্পশ্যুট’ আর মুখে ‘দালির মুখোশ’ আঁটা একদল সর্বহারা হয়ে উঠেছে পুঁজিবাদীদের ত্রাস, রাষ্ট্রীয় শোষণের পথে বিছানো গোলাপের কাঁটা।
সারা বিশ্বকেই কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে এই সিরিজ। সদ্য মুক্তি পেয়েছে মানি হাইস্টের পঞ্চম সিজন। আসলে আমাদের দেশের প্রায় অধিকাংশ সম্পদই মজুত থাকে গুটিকয়েক পুঁজীবাদীদের হাতে, আর অনাহারে দিন কাটায় কোটি কোটি দেশবাসী। মানি হাইস্টের টোকিও, ডেনভার, হেলসিঙ্কি, বোগোতারা প্রফেসরের মগজাস্ত্রকে কাজে লাগিয়ে সেই পুঁজিপতিদের ঘরেই কামান দাগার স্পর্ধা দেখায়।
ওরা অধিকার ছিনিয়ে নিতে জানে, বুলেট দিয়ে নয় বরং গোলাপ দিয়ে রাঙিয়ে। কার্যতই এই ‘দালি’ মাস্ক প্রতীক হয়ে উঠেছে শ্রমিকদের, খেটে খাওয়া মানুষদের, সমাজতন্ত্রের। সারা বিশ্বেই এই মাস্ককে সামনে রেখে সংগঠিত হয়েছে অসংখ্য বিপ্লব। লকডাউনের সময় যাদবপুরের দেওয়ালে সেই মাস্কেরই গ্রাফিতি এঁকেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া আরাত্রিকা বসু। তাকে এই কাজে সাহায্য করেছিলেন আর এক পড়ুয়া বিদু চন্দ।
এবার সেই গ্রাফিতির প্রশংসা করলেন স্বয়ং ‘মানি হাইস্টের’ টোকিও। ভাঙা ভাঙা উচ্চারণে তিনি পড়লেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, সব শেষে শিল্পীদের জন্য নিজের বুকের কাছে আঙুল দিয়ে হার্ট সাইন বানিয়ে জানালেন একরাশ ভালোবাসা। নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়া থেকে এই ভিডিও পোস্ট হওয়া মাত্রই খুশি যেন ধরছেনা যাদবপুরের ওই দুই পড়ুয়ার৷ তাদের জন্য গর্বে বুক ফুলিয়েছে গোটা কলকাতাই৷ হারা না মানা লড়াই, আর জেদকে রঙ তুলিতে সাজিয়েছে তারা। তাদের জন্য আমাদের তরফ থেকে রইল কুর্নিশ। ‘দ্য বেঙ্গলি ক্রোনিক্যাল’ এর সাক্ষাৎকারে আমরা কথা বললাম যাদবপুরের দেওয়ালে দালি মাস্কের গ্রাফিতির স্রষ্টা আরাত্রিকা বসুর ও সহকারী বিদু চন্দর সঙ্গে, রইল সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকার –