Municipal Polls- বেজে গিয়েছে পুরভোটের দামামা, কেমন ছিল শেষ পাঁচটি পুরভোটের ফলাফল
ভবানীপুরে উপনির্বাচনের(byelection) পরেই মুখ্যমন্ত্রী(CM Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালের বকেয়া পুরভোটগুলি নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। সেই কথা মতোই শুক্রবার কলকাতা পুরসভার(Kolkata municipality) মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim) নিশ্চিত করলেন করোনাকালে বিধিনিষেধ পালন করেই হতে চলেছে পুরভোট। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি মারফত কলকাতা ও হাওড়া পুরনিগমের ভোট করার জন্য আবেদন জানানো হয়। নবান্ন সূত্রে খবর, এই ব্যাপারে কোনো দ্বিমত করেননি রাজ্য নির্বাচন কমিশন(election commission)। ফলে ১৯ শে ডিসেম্বর, রবিবারই কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট করার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার।
শুক্রবার কলকাতা মিউনিসিপ্যালিটির বিজয়ী সম্মেলনীতে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েও করোনার জন্যই পুরভোট করতে পারেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুজোর পর কোভিড সংক্রমণ(coronavirus infection) সামান্য বেড়েছে, দৈনিক ২০০-র উপরে যাচ্ছে। তবে অধিকাংশই উপসর্গহীন ও তীব্রতা প্রায় নেই। তাই যদি সবাই মাস্ক পরে, আরটিপিসিআর পরীক্ষা দিয়ে শনাক্ত করে তবে সংক্রমণ ফের একশোর নিচে চলে যাবে। আর সংক্রমণ কম থাকলে শিগগিরই আমাদের বকেয়া পুরভোটটা হয়ে যাবে।”
একুশের বিধানসভা ভোটে(assembly election) সাফল্য এবং তারপর উপনির্বাচনেও সাফল্য পাওয়ায় কলকাতার পুরভোট নিয়েও বেশ আশাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি কলকাতা পুরভোটের হিসাব অনুযায়ী, গত পাঁচটি পুরভোটের তিনবারেই জয়ের আসন্ন লাভ করেছিল তৃণমূল সরকার। এই তিনবারের মধ্যে সর্বাধিক সাফল্য পেয়েছিল ২০১৫ সালের পুরভোট নির্বাচনে। ২০১৫ সালের পর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বিভিন্ন কারণে রাজ্যে করা যায়নি পুরভোট নির্বাচন। অবশেষে নির্বাচন কমিশনের সম্মতিতে ফের আশার আলো দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(mamata bnerjee) ও তাঁর দল।
২০১৫ সালের নির্বাচন (2015 election) :
২০১৫ সালে কলকাতা পুরসভার মোট ১৪৪ টি আসনের মধ্যে ১১৪ টি পেয়েছিল তৃণমূল সরকার(Trinamool government)। এছাড়া বামফ্রন্ট(CPIM) পেয়েছিল ৩৩, বিজেপি(BJP) পেয়েছিল ৭, কংগ্রেস ৫ এবং অন্যান্যরা পেয়েছিল ০ টি আসন। সেবার পুরভোটে জিতে কলকাতার মেয়র হয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়(sovan chattopadhay)। ২০১৮ তে তিনি পদত্যাগ করার পর কলকাতার মেয়র হন ফিরহাদ হাকিম।
২০১০ সালের নির্বাচন(2010 election) :
২০১০ সালেও কলকাতা পুরসভার মোট আসন ছিল ১৪৪ টি। যার মধ্যে তৃণমূলের দখলে ৯৫ টি, বামফ্রন্টের দখলে ৩২ টি, বিজেপির দখলে ৩ টি, কংগ্রেসের দখলে ১০ টি এবং নির্দলদের দখলে ছিল ১ টি আসন। সেবারেই প্রথমবারের জন্য মেয়র পদে বসেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
২০০৫ সালের নির্বাচন(2005 election) :
সেবার তৃণমূল ছেড়ে নিজের দল গঠন করেছিলেন সদ্য প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পরবর্তী সময়ে তৃণমূলে ফিরলেও সেবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কারণেই পুরভোট নির্বাচন জিততে পারেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সেবার কলকাতা পুরসভার মোট আসন ছিল ১৪১ টি। যার মধ্যে তৃণমূল ও বিজেপি জোটের দখলে যায় ৪৫ টি, বামফ্রন্টের দখলে ৭৫ টি, কংগ্রেস ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দলের জোট পায় ১৯ টি এবং নির্দল ৫ টি আসন লাভ করে। সেবার কলকাতা পুরসভার নতুন মেয়র হয়েছিলেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
২০০০ সালের নির্বাচন(2000 election) :
রাজ্যে তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর সেবারেও পুরভোট নির্বাচন জয়লাভ করেছিল তৃণমূল সরকার। ২০০০ সালে কলকাতা পুরসভার মোট আসন ছিল ১৪১ টি, তৃণমূল ও বিজেপি জোটের দখলে ৬১, বামফ্রন্টের দখলে ৬০, কংগ্রেস ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দলের জোট ১৫ এবং নির্দলদের দখলে ছিল ৫ টি আসন। মেয়র হয়েছিলেন প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
১৯৯৫ সালের নির্বাচন (1995 kolkata election) :
১৯৯৫ সালে রাজ্যে তখনও জন্ম নেয়নি তৃণমূল সরকার। সেই বছর কলকাতা পুরসভার মোট আসন ছিল ১৪১টি, বামফ্রন্টের দখলে ৭০টি, কংগ্রেসের দখলে ৬৬টি, বিজেপি জোটের দখলে ২টি এবংনির্দল ৩ টি আসন জিতেছিল। ১৯৯৫ সালে কলকাতা পুরসভার মেয়র হয়েছিলেন প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায়। বর্তমান বছরের এখন পর্যন্ত কলকাতার সমস্ত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। তবে পুরভোটের ফলাফল নিশ্চিত করবে প্রধান বিরোধী দল কে হবে তা।
আরও পড়ুন – পোশাকই যখন হীরের খনি! ৬০ লাখের জামা গায়ে হাজির উর্বশী রাউতেলা